করোনায় চাকরি গেল এক কোচের

করোনায় চাকরিটাও হারাতে হলো এই কোচকে। ছবি: মার্কা
করোনায় চাকরিটাও হারাতে হলো এই কোচকে। ছবি: মার্কা

করোনাভাইরাসের এই ভয়াল সময়ে কত যে বিপদ! শুধুই কি ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ভয়, মানুষ ঝুঁকিতে পড়ে গেছে পেশাগত দিক দিয়েও। বন্ধ হয়ে যাচ্ছে একের পর এক প্রতিষ্ঠান। আর্থিক লোকসানে অনেক প্রতিষ্ঠান বেতন দিতে পারছে না কর্মীদের। পার জেটারবার্গের দুর্ভাগ্য—করোনাভীতির মধ্যে তাঁকে হারাতে হলো চাকরিটাও।

জেটারবার্গ সহকারী কোচ হিসেবে কাজ করতেন বেলজিয়ামের ক্লাব আন্দারলেখতে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণে স্থবির হয়ে পড়েছে বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গন। কঠিন এক সময় পার করতে হচ্ছে বিশ্বের সব ক্রীড়া প্রতিষ্ঠানকেই। জেটারবার্গকে বরখাস্ত করার খবরটি নিশ্চিত করে আন্দারলেখত ক্লাব কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘পেশাদার ফুটবলের সঙ্গে অনেক অর্থনৈতিক কর্মকান্ড জড়িয়ে। কোভিড-১৯ মহামারি রূপ নেওয়ায় সবাই এখন কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। আর্থিক এই ক্ষতির মধ্যে ক্লাব চালিয়ে নেওয়া ক্রমেই কঠিন হয়ে পড়ছে। আমরা তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছি পার জেটারবার্গকে বরখাস্ত করার। তবে এই সুইডিশ কোচ ক্লাবের একজন কিংবদন্তি হয়েই থাকবেন।’

জেটারবার্গ শুধু কোচ হিসেবে নন, এক সময় এই ক্লাবের হয়ে খেলেছেনও। বরখাস্ত হওয়ার খবরে ভীষণ হতাশ তিনি। বেলজিয়ান সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘ভাবিনি এমনটা হবে। তেমন কোনো ব্যাখ্যা ছাড়াই ক্লাব আমার চুক্তি শেষ করেছে। দুঃখ পাইনি কিন্তু হতাশ হয়েছি। তারা কি টাকা বাঁচাতে চায়? আমার কাজ নিয়ে তারা অসন্তুষ্ট? উত্তর না থাকলেও আমাকে এটা মেনে নিতে হবে।’

আন্দারলেখতই শুধু নয়, সুইস ক্লাব সিওন আট খেলোয়াড়কে বাদ দিয়েছে বেতন কমাতে রাজি না হওয়ায়। স্পেনে বার্সেলোনাও প্রস্তাব দিয়েছে খেলোয়াড়দের বেতন কমানোর। ফরাসি ক্লাব অলিম্পিক লিওঁ বেতন সাময়িকভাবে স্থগিত রাখার প্রস্তাব দিয়েছে। আরেক ফরাসি ক্লাব সেঁত এতিয়েনের প্রধান ও ফরাসি ক্লাবগুলোর ইউনিয়নের প্রধান বের্নার্দ কাইয়াসো বলছেন, এভাবে চলতে থাকলে সাড়ে ছয় মাসের মধ্যে ফ্রান্সের অনেক ক্লাব দেউলিয়া হয়ে যাবে।

কে জানে, সে ক্ষেত্রে জেটারবার্গের দুর্ভাগ্য বরণ করে নিতে হতে পারে অনেককেই!