কোয়ারেন্টিন না মেনে উল্টো পুলিশকে গালি

জরুরি অবস্থা চলছে স্পেনে। ছবি: এএফপি
জরুরি অবস্থা চলছে স্পেনে। ছবি: এএফপি
>

নিয়ম তো মানেননি, উল্টো পুলিশের দোষ খুঁজতে নেমেছেন পেদ্রো পোরো

দেশের সবার ভালোর কথা ভেবে জরুরি অবস্থা ডেকেছে স্পেন। সামাজিক সংস্পর্শ এড়াতে পারলেই একমাত্র করোনাভাইরাসের থেকে রক্ষা পাবে সমাজ। এ কারণে সবাইকে ঘরে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সে নিয়ম না মেনে রাস্তায় বেরিয়ে পড়েছিলেন এক ফুটবলার। এতে শাস্তি দেওয়ায় উল্টো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন।

ম্যানচেস্টার সিটির ডিফেন্ডার পেদ্রো পোরো আপাতত ধারে খেলছেন রিয়াল ভায়াদোলিদে। থাকেন সেখানেই। কোয়ারেন্টিনের সময়টা কাটাচ্ছেন শহরের বোয়েসিয়ো অঞ্চলে। গতকাল স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যমে খবর এসেছে, কোয়ারেন্টিনের নিয়ম ভাঙায় ৬০০ ইউরো জরিমানা করা হয়েছে পোরোকে।

খবরে জানানো হয়েছে, পোরো ভায়াদোলিদ শহরের কেন্দ্রস্থলে কেনাকাটা করার উদ্দেশ্যে বেড়িয়েছিলেন পোরো। অথচ এই ডিফেন্ডার যে অঞ্চলে থাকেন, সে বোয়েসিয়া অঞ্চল শহর থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে। কোয়ারেন্টিন থেকে জরুরি প্রয়োজনেই বের হওয়া যায়। এবং আশপাশের দোকান থেকেই প্রয়োজনীয় কেনাকাটা সেরে নিতে হয়। নিজের বাসার আশপাশে বেশ কিছু দোকান ও সুপার মার্কেট থাকার পরও ঝুঁকি নিয়ে ও অন্যের ঝুঁকি বাড়িয়ে শহরের দিকে যাচ্ছিলেন পোরো। এরপরই তাঁকে পুলিশ আটকে জরিমানা করেছে।

স্পেনে গতকাল পর্যন্ত ২ হাজার ৩১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবু নিজের ভুল বোঝেননি পোরো। নিজের টুইটার অ্যাকাউন্টে গিয়ে পুলিশের কড়া সমালোচনা করেছেন, ‘ওরা (পুলিশ) যেভাবে মানুষের সঙ্গে কথা বলছে, তাতে আমি খুব রেগেছি। ওরা যেভাবে নির্দেশ দেয় তা খুবই রুক্ষ। আমি শুধু বলেছি কেউই কারও ওপরে নয়। এবং দুই পক্ষেরই উচিত একে অপরকে শ্রদ্ধা করা। আমি সবাইকে এ কারণেই বলছি, তোমার কিছু দরকার হলেও বাইরে যেও না। বাইরে খুব বাজে অবস্থা (পুলিশের আচরণ)। আমাকে যে জরিমানা করেছে তাতে কিছু এসে–যায় না। কিন্তু এভাবে অপমান করা মানব না। আমাকে এমনভাবে জিজ্ঞেস করছে যেন ডন বেনিতো (৪০০ কিলোমিটার দূরের শহর) থেকে এসেছি।’

বারবার বলার পরও নিয়ম ভাঙার পরও পুলিশের কাছে কী ধরনের আচরণ আশা করছিলেন ২০ বছরের এই ডিফেন্ডার, সেটা ঠিক বোধগম্য নয়। তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাঁর এ টুইট খুব একটা গ্রহণযোগ্যতা পায়নি। একটু পরেই অবশ্য সে টুইট ডিলিট করে ফেলেছেন। কিন্তু সংবাদপত্রের শিরোনাম হওয়া আটকাতে পারেননি।