কেন ভারতের বোলারদের বেধড়ক পিটিয়েছিলেন পন্টিং

সেদিন সৌরভদের পিটিয়ে ছাতু করেছিলেন পন্টিং। ছবি: এএফপি
সেদিন সৌরভদের পিটিয়ে ছাতু করেছিলেন পন্টিং। ছবি: এএফপি
>

২০০৩ বিশ্বকাপ ফাইনালের সেই বিধ্বংসী ইনিংস নিয়ে মুখ খুললেন রিকি পন্টিং

টি-টোয়েন্টি তখনো আসেনি। ওয়ানডেতে তখনো তিন শ মোটামুটি নিরাপদ পুঁজি। বিশ্বকাপ ফাইনালে পেলে তো কথাই নেই। চাপের ম্যাচে ওটাই এক অর্থে সাড়ে তিন শ। কিন্তু ওই সময়ের ফাইনালে কেউ সাড়ে তিন শ টপকে গেলে! ম্যাচে আর কিছু থাকে না।

জোহানেসবার্গে সেদিন থাকেওনি। বুঝতেই পারছেন ২০০৩ বিশ্বকাপ ফাইনালের কথা বলা হচ্ছে। অস্ট্রেলিয়া আগে ব্যাট করে তুলেছিল ২ উইকেটে ৩৫৯। তাড়া করতে নেমে ১২৫ রানে হেরেছিল ভারত। অস্ট্রেলিয়ার ওই স্কোরের পেছনে কলকাঠি নেড়েছিলেন অধিনায়ক রিকি পন্টিং। নেড়েছিলেন বললে ভুল হয়, রীতিমতো শাসন করেছিলেন জাভাগাল শ্রীনাথ, হরভজন সিং, জহির খানদের।

৮ ছক্কা ও ৪ চারে ১২১ বলে ১৪০ রানের অবিস্মরণীয় এক ইনিংস খেলেছিলেন পন্টিং। একটা সময় পর্যন্ত মনে হয়েছে পুরো ৫০ ওভার খেলে দলকে তিন শ এনেই সন্তুষ্ট থাকবেন অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসে দ্বিতীয় ইনিংস বিরতির পর পাল্টে ফেলেন খেলার ধাঁচ। ৩৫তম ওভারের পর থেকে চড়াও হয়েছিলেন পন্টিং। এ সময় ৫৬ বলে তুলেছিলেন ৯৬। হঠাৎ কেন অমন মারকুটে ব্যাট করেছিলেন অস্ট্রেলিয়ান কিংবদন্তি, জানালেন এত দিন পর।

অস্ট্রেলিয়ান সংবাদমাধ্যমে এক ভিডিওবার্তায় ওই ম্যাচ নিয়ে কথা বলেছেন পন্টিং, ‘অস্ট্রেলিয়ার দ্বিতীয় ইনিংস বিরতির সময় ২ উইকেট পড়েছিল, হাতে ছিল ১৫ ওভার। দ্বাদশ খেলোয়াড়কে বলি, সবাইকে তৈরি থাকতে বলো, আমি আক্রমণে যাচ্ছি এখন থেকেই। ঠিকঠাকমতো হলে আমরা অনেক বড় স্কোর পাব। ভারতের বিপক্ষে ৫০ ওভার খেলে তিন শ তুলে নিরাপদ থাকা যায় না। এখন থেকে চালালে আমরা বড় স্কোর পাব।’

সেই বিখ্যাত ব্যাট। ছবি: পন্টিংয়ের টুইটার অ্যাকাউন্ট
সেই বিখ্যাত ব্যাট। ছবি: পন্টিংয়ের টুইটার অ্যাকাউন্ট

পন্টিং ব্যাখ্যা করেন, ‘পরে লেম্যান, বেভান, সাইমন্ডসের মতো খেলোয়াড় ছিল।' ফাইনালে ড্যামিয়েন মার্টিন আঙুলে চোট নিয়েও কীভাবে খেললেন সে কথাও বলেছেন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক এ অধিনায়ক, ‘খেলার মতো অবস্থায় আছ কি না, আমার চোখে চোখ রেখে বলো। আমার চাওয়া ছিল সে খেলুক। স্পিনে দুর্দান্ত ও।’ 

৮৪ বলে ৮৮ রানে অপরাজিত মার্টিন। দুজনের অপরাজিত ২৩৪ রানের জুটিতে ম্যাচ থেকে বলতে গেলে আগেই ছিটকে পড়ে ভারত। কাল সেই ফাইনালের ১৭ বছর পূর্তিতে একটি টুইটও করেন পন্টিং। যে ব্যাট দিয়ে ভারতীয় বোলারদের বেধড়ক পিটিয়েছিলেন তার ছবি পোস্ট করে পন্টিং লিখেছেন, ‘ঘরে থাকায় সবার হাতে যেহেতু সময় আছে, ভাবলাম ক্যারিয়ার থেকে যা যা রেখে দিয়েছি সেসব ধীরে ধীরে সবার সঙ্গে ভাগ করে নেই- ২০০৩ বিশ্বকাপে এ ব্যাট দিয়ে খেলেছি।’