করোনার জন্য নামই বদলে ফেললেন অশ্বিন

ভারতীয় অফ স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিনের টুইটার অ্যাকাউন্ট।
ভারতীয় অফ স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিনের টুইটার অ্যাকাউন্ট।

চীন-ইউরোপের পর করোনা ছড়িয়ে পড়ছে সারা বিশ্বে। উপমহাদেশেও মৃত্যু ছোবল মেরেছে। বাংলাদেশে মৃতের সংখ্যা চার, পাকিস্তানে সেটা ছয়। আর ভারতে সেটা দুই অঙ্ক ছুঁয়েছে। ভারত এরই মাঝে জরুরি অবস্থার মহড়া দিয়েছে ‘জনতা কারফিউ’র আড়ালে। মানুষকে সচেতন করার উদ্দেশ্যে রবিচন্দ্রন অশ্বিন নিয়েছেন দারুণ পদক্ষেপ। টুইটারে নিজের নাম বদলে ফেলেছেন এই অফ স্পিনার।

ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৫০০ ছাড়িয়েছে। গত পরশু ১৪ ঘণ্টা দেশের সবাইকে ঘরে থাকার অভ্যাস করিয়েছে মোদি সরকার। এর পর থেকেই ভারতে ধীরে ধীরে জনসমাগম কমে আসছে। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ এড়ানোর জন্য সচেতন মানুষ নানা ব্যবস্থা নিচ্ছেন। পাঞ্জাব তো এর মাঝেই কারফিউ জারি করেছে।

অশ্বিনও মানুষকে সচেতন করার দায়িত্ব তুলে নিয়েছেন কাঁধে। নিজের টুইটার অ্যাকাউন্টের নাম পরিবর্তন করেছেন, ‘লেটস স্টে ইনডোরস ইন্ডিয়া’ (ভারতের সবাই, চল ঘরে থাকি)। বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফিও প্রায় এমন একটি পরামর্শ ফেসবুকের মাধ্যমে দেশের যুব সমাজের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন।

অশ্বিন সে কাজটা করছেন টুইটারে। গতকাল একটি টুইটে লিখেছেন, ‘এখন পর্যন্ত যা তথ্য পেলাম (আনুষ্ঠানিক সূত্র ও আতঙ্কজাগানো সূত্র মিলিয়েই), একটা জিনিস পরিষ্কার। আগামী দুই সপ্তাহ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হতে যাচ্ছে। ভারতের সব শহর আগামী দুই সপ্তাহ যেন জনমানবহীন মনে হয়, সেটা নিশ্চিত করতে হবে। কারণ, এটা (করোনা পরিস্থিতি) যদি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় তবে মহাবিপর্যয় ঘটবে।’

ইউরোপ বা উত্তর আমেরিকার চেয়ে ভারতের শঙ্কা কেন বেশি সেটাও ব্যাখ্যা করেছেন অশ্বিন, ‘আমাদের মনে রাখতে হবে আমাদের দেশ জনবহুল একটি দেশ এবং অধিকাংশ মানুষের কাছেই তথ্য পৌঁছানোর উপায় নেই।’

জনসংখ্যার হার বা ঘনত্বের দিক থেকে বাংলাদেশ অবশ্য ভারতের চেয়েও এগিয়ে। বাংলাদেশের সংক্রমণের ভয়াবহতার কথা চিন্তা করে মাশরাফি গতকালই দুবার সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করেছেন। অন্যান্য তারকারাও চেষ্টা করেছেন করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে শামিল হতে। কারণ, এই লড়াইয়ে হার মেনে নেওয়া যে অসম্ভব।