করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধের ডাক আবাহনীর পর্তুগিজ কোচের

আবাহনীর পর্তুগিজ কোচ মারিও লেমোস বাংলাদেশের মানুষকে বলছেন করোনার বিপক্ষে লড়তে
আবাহনীর পর্তুগিজ কোচ বললেন করোনার বিপক্ষে লড়তে।
আবাহনীর পর্তুগিজ কোচ বললেন করোনার বিপক্ষে লড়তে।

করোনাভাইরাসের কারণে খেলোয়াড়, কোচ, কর্মকর্তারা গৃহবন্দী জীবন কাটাচ্ছেন। দেশের সব ঘরোয়া খেলাধুলার সঙ্গে আপাতত বন্ধ আছে প্রিমিয়ার লিগ ফুটবল। কিন্তু এই মুহূর্তে খেলাটাকে মোটেও গুরুত্বপূর্ণ মনে হচ্ছে না আবাহনীর কোচ মারিও লেমোসের। দুর্যোগপূর্ণ এই পরিস্থিতিতে পর্তুগিজ কোচ মাঠের চেয়ে মাঠের বাইরের লড়াইকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন।

নিজের ফেসবুক পেজে একটি ভিডিও বার্তায় বাংলাদেশের মানুষের উদ্দেশ্যে বলেছেন নানা রকম আশার কথা, ‘আশা করি এই ভিডিও যখন দেখছেন তখন আপনি ভালো আছেন। আমরা একটা কঠিন সময় পার করছি। দুর্ভাগ্যবশত মানুষ দুর্ভোগ পোহাচ্ছে, মৃত্যু বরণ করছে। মানুষ তার পরিবারের আপন লোক হারাচ্ছে। এটা মারাত্মক কঠিন একটা সময়। আমি ব্যক্তিজীবনে সব সময় ইতিবাচক থাকার চেষ্টা করি। ভালো সময়ে নয়, খারাপ সময়েও। খারাপ সময়েই ইতিবাচক থাকাটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ।’

করোনাভাইরাসে যখন চারপাশে আতঙ্কিত হয়ে পড়ছে মানুষ, তখন লেমোসের চেষ্টা সবাইকে শান্ত রাখার, ‘আমি আপনাদের ইতিবাচক থাকতে বলব, শক্ত থাকতে বলবো। যদিও সেটা যথেষ্ট নয়, ঘরে থাকুন। এবং নিরাপদে থাকুন। আপনাকে অবশ্যই ঘরে থাকতে হবে। ঘরে থাকলে আপনি অন্যের সংস্পর্শে আসবেন না। ভাইরাস সংক্রমণ রোধ করবে এটি। ভাইরাসও আপনাকে আক্রান্ত করার শঙ্কা কমে যাবে। এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। দয়া করে ঘরে থাকুন। স্বাস্থ্য সচেতন হোন। পরিচ্ছন্নতা মেনে চলুন।’

এই মুহূর্তে ফুটবল নিয়ে মাথা ঘামানোর মতো পরিস্থিতি নেই কোচের। তাইতো আবাহনী সমর্থকদের বললেন, ‘আমি আবাহনী সমর্থকদের কাছ থেকে অনেকগুলো বার্তা পেয়েছি। আপনার লিগ, অনুশীলন নিয়ে জানতে চেয়েছিলেন। কিন্তু এই মুহূর্তে ফুটবল মোটেও গুরুত্বপূর্ণ নয়। চিন্তা করবেন না, যখন সবকিছু আবার নিরাপদ হবে। আমরা আবার ফুটবলে ফিরব। দল গোছাব। লিগ খেলব।’

দুই মৌসুম ধরে আবাহনীর কোচ মারিও লেমোস। এই দেশের মানুষের জন্য তার হৃদয়ে রয়েছে অন্যরকম ভালোবাসা, ‘এই মুহূর্তে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে আপনার সুস্থতা। আপনার পরিবারের সুস্থতা। আপনার কমিউনিটির সুস্থতা। আপনারা জানেন আমি এখন বাংলাদেশে অবস্থান করছি। এখন সময়টা আমাদের কাজে লাগানোর। ঘরে থেকে এই ভাইরাস রোধ করতে কাজ করতে হবে আমাদের। তা ছাড়া ইউরোপ ও এশিয়ায় আমার বন্ধু-বান্ধব আছেন। আমি সব সময় তাদের কথাও চিন্তা করছি।’

মাঠে যেভাবে প্রতিপক্ষকে হারিয়ে উল্লাসে মেতে ওঠেন, সেভাবে ভাইরাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে জিততে চান মারিও, ‘এই ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করে আমাদের জিততেই হবে। আমরা এই ভাইরাসের চেয়ে শক্তিশালী। আশা করি খুব দ্রুতই সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে যাবে। তখন আবার আমরা আমাদের ভালোবাসার কাজটা করতে পারব। ফুটবল মাঠে ফিরতে পারব।’