করোনা মোকাবিলায় বেতনের অর্ধেক দিয়ে দিচ্ছেন মাশরাফি-তামিমরা

মাশরাফি-তামিম এবার ২২ গজে নয়, লড়াইয়ে নামছেন করোনা প্রতিরোধে। ছবি: প্রথম আলো
মাশরাফি-তামিম এবার ২২ গজে নয়, লড়াইয়ে নামছেন করোনা প্রতিরোধে। ছবি: প্রথম আলো

করোনা মহামারি প্রকট আকার ধারণ করেছে পুরো বিশ্বে। জ্যামিতিক হারে বেড়ে চলেছে আক্রান্তের সংখ্যা, বেড়ে চলেছে মৃত্যুর সংখ্যা। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গনের বড় বড় তারকারা এগিয়ে আসছেন। এই লড়াইয়ে পিছিয়ে থাকছেন না বাংলাদেশের ক্রিকেটাররাও।

সারা বিশ্বেও মানুষ এখন নতুন যুদ্ধ শুরু করেছে। যুদ্ধটা করোনার বিরুদ্ধে। ভয়ংকর করোনাকে হারাতেই হবে, এ প্রতিজ্ঞায় ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো, জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচসহ সিরি ‘আ’ কিংবা লা লিগার ফুটবলাররা আর্থিক সহায়তা করছেন। ক্রিকেটারদের মধ্যে এগিয়ে এসেছেন শহীদ আফ্রিদি। করোনা মোকাবিলায় শ্রীলঙ্কান ক্রিকেট বোর্ডও আর্থিক সহায়তা করছে তাদের সরকারকে।

বাংলাদেশের ক্রিকেটাররাও বসে নেই। করোনা প্রতিরোধে তাঁরা উদ্যোগ নিচ্ছেন তহবিল গঠনের। আপাতত তাঁদের উদ্যোগটা হচ্ছে, কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকা ১৭ ক্রিকেটার চলতি মাসের বেতনের ৫০ শতাংশ দিয়ে দেবেন এই তহবিলে। চুক্তির বাইরে যে ১০ ক্রিকেটার গত তিন মাসে নিয়মিত আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার খেলেছেন তাঁরাও তাঁদের বেতনের ৫০ শতাংশ দেবেন।

কেন্দ্রীয় চুক্তির বাইরে থাকা কোনো ক্রিকেটার যখন আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেন, বিসিবি প্রাপ্য গ্রেড ধরে ওই মাসের বেতনটা তাঁকে দিয়ে দেয়। যেমন—মাশরাফি বিন মুর্তজা কেন্দ্রীয় চুক্তিতে নেই। কিন্তু মার্চ মাসে তিনি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন। প্রাপ্য গ্রেড অনুযায়ী এই মাসে তিনি ৪ লাখ ২৫ হাজার টাকা বেতন পাবেন। করোনা তহবিলে মাশরাফি দেবেন বেতনের ৫০ শতাংশ অর্থাৎ ২ লাখ ১২ হাজার টাকা।

২৭ ক্রিকেটারের সহায়তায় ৩১ লাখ টাকার তহবিল গঠন হবে বলে আশা করছেন ক্রিকেটাররা। কিন্তু এ টাকাটা সরকারের কোন প্রতিষ্ঠানকে দেওয়া হবে সেটি এখনো ঠিক করা হয়নি। এই মহতী উদ্যোগের অন্যতম উদ্যোক্তা তামিম ইকবাল আজ প্রথম আলোকে বললেন, ‘যাদের সামর্থ্য আছে, সবার জায়গা থেকে কিছু কিছু সহায়তা করলে এ লড়াইয়ে জেতা সম্ভব। এটা এখন করা দরকারও। টাকাটা আমরা কোথায় দেব, সেটি এখনো ঠিক করিনি। আগে পুরো টাকাটা হাতে পেয়ে নিই, তারপর যেটা সঠিক সেটাই করা হবে।’