কানেরিয়ার জীবন 'লকডাউন' করে রেখেছে পিসিবি

দানিশ কানেরিয়া। এএফপি ফাইল ছবি
দানিশ কানেরিয়া। এএফপি ফাইল ছবি
>পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডকে দুষে আবারও টুইট করলেন দানিশ কানেরিয়া

করোনাভাইরাস সংক্রমণের এ মুহূর্তে ‘লকডাউন’ শব্দটা বেশ পরিচিতি পেয়েছে। আজীবন নিষিদ্ধ হওয়া পাকিস্তানের লেগ স্পিনার দানিশ কানেরিয়া পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডকে (পিসিবি) খোঁচা মারতে এ শব্দটাই বেছে নিলেন—‘আমার জীবনটা লকডাউন করে রাখা হয়েছে।’

পাকিস্তান ক্রিকেটে কানেরিয়াকে নিয়ে বিতর্ক নতুন না। এসেক্সের ক্রিকেটার মারভিন ওয়েস্টফিল্ডকে স্পট ফিক্সিংয়ে প্ররোচিত করায় ২০১২ সালে নিষিদ্ধ হন কানেরিয়া। এরপর থেকেই নিষেধাজ্ঞা তোলার চেষ্টা করছেন ৩৯ বছর বয়সী এ লেগ স্পিনার। নিজের বাজে অবস্থার কথা জানিয়ে এর আগে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ও সাবেক অধিনায়ক ইমরান খান এবং পিসিবির কাছে সাহায্যও চেয়েছিলেন কানেরিয়া।

গত বছরের ডিসেম্বরে একবার কানেরিয়াকে নিয়ে হইচই তুলেছিলেন শোয়েব আখতার। টেস্টে পাকিস্তানের হয়ে চতুর্থ সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি কানেরিয়ার ধর্মবিশ্বাসের জন্য জাতীয় দলে তাঁর সঙ্গে নাকি কেউ কেউ খেতে চাইতেন না, জানান শোয়েব। কানেরিয়া এ কথার পক্ষে অবস্থান নিয়ে বলেছিলেন, ‘আমার জীবনটা ভালো চলছে না। অনেকের কাছে সমস্যা থেকে মুক্তির সমাধান চেয়েছি। কেউ সাহায্য করেনি। যদিও পাকিস্তানে অনেক ক্রিকেটারের সমস্যারই সমাধান করা হয়েছে।’ কানেরিয়া পাকিস্তান দলে খেলা দ্বিতীয় হিন্দু ক্রিকেটার।

কানেরিয়ার তিনটি টুইট। ছবি: টুইটার
কানেরিয়ার তিনটি টুইট। ছবি: টুইটার

এত দিনেও কানেরিয়াকে নিয়ে পিসিবি কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। কেউ সাহায্য করতেও এগিয়ে আসেনি। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করে কাল ধারাবাহিকভাবে কয়েকটি টুইট করেন কানেরিয়া। এ নিয়ে তাঁর প্রথম টুইট, ‘পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড আমার বিষয়ে ঘুমোচ্ছে। কারণ আমি একজন গর্বিত হিন্দু। সৃষ্টিকর্তা ক্ষমা করুন। আশা করি প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান সাহায্য করবেন। আমার অনুরোধ রইল। সবারটা গ্রহণ হলে আমারটা হবে না কেন।’

কানেরিয়া এখন কোচিংয়ে ফিরতে চান। সে ইচ্ছা জানিয়ে আরেকটি টুইট করেন তিনি, ‘দ্রুতই পিসিবিকে পাঠানো আমার চিঠি এবং পিসিবির জবাব সবাইকে দেখাব। আমি পাকিস্তানের নাগরিক। শুধু বলছি আমার পুনর্বাসন করুন। তারা না বলছে কেন? খেলতে না পারি অন্তত কোচিং তো করাতে পারি।’

কানেরিয়া এরপর টুইট করেন, ‘আমার জীবনটা লকডাউন করে রাখা হয়েছে।’