মেসি-রোনালদোদের চেয়ে পিছিয়ে নেই নেইমাররাও

করোনা-প্রতিরোধে এগিয়ে এল নেইমারের ক্লাব পিএসজি। ফাইল ছবি
করোনা-প্রতিরোধে এগিয়ে এল নেইমারের ক্লাব পিএসজি। ফাইল ছবি
>যে যেভাবে পারছে, করোনাভাইরাস মোকাবিলায় নিজ নিজ অবস্থান থেকে সাহায্য করে যাচ্ছে। এবার সে তালিকায় নাম লেখাল নেইমার-এমবাপ্পেদের ক্লাব পিএসজি

করোনাভাইরাস ভয়াল থাবা হেনেছে ফুটবলেও। ফুটবলাররাও হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন এর ভয়াবহতা। সংকট মোকাবিলায় তাঁরাও বসে নেই।

লিওনেল মেসি বা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর কথাই ধরুন। মেসি প্রায় সাড়ে নয় কোটি টাকার মতো দান করেছেন। একই পরিমাণ অর্থ দান করেছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো ও তাঁর এজেন্ট হোর্হে মেন্ডেজ মিলে। শত্রুতা ভুলে করোনা মোকাবিলায় হাতে হাত রেখে কাজ করছে চিরবৈরী দুই ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও ম্যানচেস্টার সিটি। দুই ক্লাব মিলে দান করেছে সাড়ে নয় লাখ টাকা প্রায় (দশ লাখ ইউরো)। সিটির কোচ পেপ গার্দিওলা একাই দশ লাখ ইউরো দিয়েছেন নিজ শহর বার্সেলোনার তহবিলে।

এবার এই তালিকায় নাম লেখাল নেইমার-কিলিয়ান এমবাপ্পেদের ক্লাব পিএসজিও। ফ্রান্সের একটি দাতব্য প্রতিষ্ঠানকে এক লাখ ইউরো বা প্রায় চুরানব্বই লাখ টাকা দান করেছে ফ্রান্সের চ্যাম্পিয়নরা। এই টাকা দিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত শিশু, বৃদ্ধ ও গৃহহীনদের সাহায্য করা হবে। পাশাপাশি মাঠে কর্মরত ডাক্তারদের সহায়তা এবং স্বেচ্ছাসেবীদের প্রশিক্ষণের জন্যও ব্যয় করা হবে পিএসজির দেওয়া অর্থ।

করোনাভাইরাসের জন্য তহবিল সংগ্রহ করার উদ্দেশ্যে বিশেষ ফুটবল জার্সিও বাজারে ছেড়েছে পিএসজি। সেখান থেকে প্যারিসের হাসপাতালগুলোর জন্য ২ লাখ ইউরো পাওয়ার আশা করছে নেইমারদের ক্লাবটি। সমস্ত অর্থ খরচ করা হবে স্বাস্থ্যসেবার কাজে।

বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসের কারণে এখন পর্যন্ত মারা গেছে একুশ হাজারেরও বেশি মানুষ। শুধু ফ্রান্সেই মারা গেছেন প্রায় দেড় হাজারেরও বেশি। দেশটিতে একদিনে সর্বোচ্চ ৩৬৫ জনের মৃত্যুর রেকর্ড হয়েছে গতকাল। হাসপাতালে মোট মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ৬৯৬ জন। তবে বিবিসির ভাষ্যমতে, সংখ্যা আরও বেশি হবে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ এতে নাকি ঘরে মৃতদের ধরা হয়নি।