নির্বাচন স্থগিতের সিদ্ধান্ত বাফুফের

বাফুফের নির্বাচন অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত
বাফুফের নির্বাচন অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত
>নির্বাচন স্থগিতের এই সিদ্ধান্তটি দ্রুতই ফিফার কাছে পাঠানো হবে, ফিফা থেকে সম্মতি পেলেই নির্বাচন স্থগিতের সিদ্ধান্ত চুড়ান্ত হবে।

অবশেষে নিজেদের অবস্থান থেকে সরে এসেছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। করোনাভাইরাসের প্রকোপে যেখানে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা স্থবির হয়ে গেছে, সেখানে বাফুফে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী ২০ এপ্রিল নির্বাচন করতে প্রস্তুত হয়েই ছিল। এ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় উঠলেও নির্বাচন পেছানোর ব্যাপারে এতদিন কোনো পদক্ষেপ দেখা যায়নি দেশের ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থার। তবে আজ হঠাৎ করেই সিদ্ধান্ত বদলেছে বাফুফে, আপাতত পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচন স্থগিত করতে চায় বাংলাদেশের ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা। আজ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে নির্বাহী কমিটির সদস্যরা একটি জরুরী সভা করেছেন। এরপরই সবার মতামতের ভিত্তিতে নেওয়া হয়েছে এই সিদ্ধান্ত।

তবে এ ক্ষেত্রে বাফুফে তাকিয়ে আছে ফিফা-এএফসির দিকে। নির্বাচন স্থগিতের এই সিদ্ধান্তটি দ্রুতই ফিফার কাছে পাঠানো হবে, ফিফা থেকে সম্মতি পেলেই নির্বাচন স্থগিতের সিদ্ধান্ত চুড়ান্ত হবে। বাফুফের নির্বাহী কমিটি নির্বাচন স্থগিত করলেও এ ব্যাপারে ফিফা ও এএফসির অনুমোদন লাগবেই। কারণ গঠণতন্ত্র অনুসারে আগামী ৩০ এপ্রিল শেষ হয়ে যাবে বর্তমান নির্বাচিত কমিটির মেয়াদ। এর মধ্যেই নতুন নির্বাচন করা বাধ্যতামূলক।
আজ সভা শেষে বাফুফের সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ বলেছেন, ‘আমরা নির্বাচন পেছানোর জন্য ফিফাকে চিঠি লিখব। যতদিন পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হয় ততদিন পর্যন্ত নির্বাচন করতে চাই না। এখন দেখি ফিফা থেকে কী উত্তর পাই। আশা করি আগামী সপ্তাহে আমরা এ ব্যাপারে একটা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত পেয়ে যাব।’
যদিও এরই মধ্যে ফিফা-এএফসি জানিয়ে দিয়েছে এই নির্বাচনে তাদের কোনো পর্যবেক্ষক পাঠাবে না। তবে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত তারা বাফুফের ওপরই ছেড়ে দিয়েছিল। এখন বাফুফে সিদ্ধান্ত বদলের পর ফিফা থেকেও নির্বাচন পেছানোর ব্যাপারে ইতিবাচক সিদ্ধান্তই আসবে বলে মনে করছেন বাফুফে সংশ্লিষ্টরা।
নির্বাচন স্থগিতের সিদ্ধান্তের পাশাপাশি আরও একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাফুফে। এই নির্বাচনের কাউন্সিলরদের নাম পাঠানোর সর্বশেষ দিন ছিল ৩০ মার্চ। সেটি বাড়িয়ে ৭ এপ্রিল পর্যন্ত করা হয়েছে।