ধোনি যাঁকে দুঃস্বপ্নেও দেখতে চান না

ধোনিকে বারবার যন্ত্রণা দিচ্ছেন কে? ফাইল ছবি
ধোনিকে বারবার যন্ত্রণা দিচ্ছেন কে? ফাইল ছবি

আইপিএলে তাঁর চেয়ে সেরা ব্যাটসম্যান অনেক। রান তোলায় তাঁর চেয়ে এগিয়ে আছেন আরও ছয় ব্যাটসম্যান। সবচেয়ে বেশি ছক্কা মারা দিকেও শীর্ষস্থানটা ধরাছোঁয়ার বাইরে তাঁর। এমনকি ম্যাচ শেষ করে আসা অর্থাৎ ‘ফিনিশার’ ট্যাগ পেতে চাইলেও আইপিএলে ধোনির চেয়েও অনেকে এগিয়ে রাখেন সুরেশ রায়নাকে। কিন্তু আইপিএলে ইতিহাসের সেরা খেলোয়াড় মহেন্দ্র সিং ধোনিই।

মহা বিপর্যয়ের মাঝে নেমে ইনিংস গড়া থেকে শেষ ভাগে রান তোলা, অথবা প্রচণ্ড স্নায়ুচাপের মাঝে দলকে জেতানো ইনিংস খেলা কিংবা ঠান্ডা মাথায় ক্ষুরধার নেতৃত্ব দেওয়া-সবকিছু মিলিয়েই ধোনি একটি পূর্ণাঙ্গ প্যাকেজ। এ কারণেই তো আঞ্চলিকতা ভুলে চেন্নাইয়ের মানুষ এতটা আপন করে নিয়েছেন ধোনিকে। চেন্নাই সুপার কিংসও তাই নিষেধাজ্ঞার বছরগুলো বাদে প্রতিবারই ধোনির কাছে দায়িত্ব বুঝিয়ে দিয়ে নিশ্চিত থেকেছে।

সেই ধোনিই কি না আইপিএলে এক বোলারকে ভয় পান ভীষণ। কারণ, এই বোলারের হাতে বল মানেই ধোনির পা জমাট বেঁধে যায়। কোনোভাবেই আর রান তুলতে পারেন না। আইপিএলে ১৯০ ম্যাচে ৪৪৩২ রান ধোনির। ৪২.২০ রানের অবিশ্বাস্য গড়। স্ট্রাইকরেটও মন্দ নয়, ১৩৭.৮৫। ১৯০ ম্যাচে ২৯৭ চার ও ২০৯ ছক্কা মেরেছেন। কিন্তু এর একটিও সুনীল নারাইনের ভাগ্যে জোটেনি।

হ্যাঁ, ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান রহস্য বোলারের ধাঁধা মেলাতে পারেন না ধোনি। এ নিয়ে ১২ বার মুখোমুখি হয়েছেন নারাইনের। এই ১২ ইনিংসে মাত্র একবারই আউট হয়েছেন। এতে অবশ্য ধোনির কৃতিত্ব নেই। নারাইনকে পেলেই যে খোলসে ঢুকে পড়েন! ১২ ইনিংসে ৫৯ বল খেলে তাঁর রান মোটে ২৯। অর্থাৎ ৫০ এর কম স্ট্রাইক রেট। কোনো চার নেই, নেই কোনো ছক্কা। আইপিএলে ধোনিকে অন্তত পঞ্চাশ বল করেছেন এমন বোলারদের মধ্যে কেউ সীমানার বাইরে অন্তত একবার হলেও বল আছড়ে পড়তে দেখেছেন। শুধু নারাইন ছাড়া।

করোনাভাইরাসের সুবাদে এবারের আইপিএল পিছিয়ে গেছে। সে সুবাদে বাড়তি কিছু সময় মিলেছে ধোনির। কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে নামার আগে এই সময়টা তাই একটু বাড়তি অনুশীলনও করে নিতে পারেন। নারাইনের বিপক্ষে নিজের এমন হতাশাজনক রেকর্ডটা যে মোছা দরকার!