এই দুঃসময়ের ভালো দিকও দেখছেন তিনি

অস্ট্রেলিয়ার কোচ জাস্টিন ল্যাঙ্গার। ছবি: দ্য ক্রিকেটার টুইটার পেজ
অস্ট্রেলিয়ার কোচ জাস্টিন ল্যাঙ্গার। ছবি: দ্য ক্রিকেটার টুইটার পেজ
>অদ্ভুত অবরুদ্ধ এই সময়ের কিছু ভালো দিকও খুঁজে পেয়েছেন অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের কোচ জাস্টিন ল্যাঙ্গার

একে একে থেমে গেছে সব। বন্ধ হয়ে গেছে সব খেলা। মাঠ ছেড়ে খেলোয়াড়েরা এখন যে যাঁর বাড়িতে। উপায়ও তো আর নেই। করোনাভাইরাস সংক্রমণ থেকে নিজে বাঁচতে, অন্যকে বাঁচাতে এটাই তো সবচেয়ে ভালো উপায়। অদ্ভুত অবরুদ্ধ এই সময়ের কিছু ভালো দিকও খুঁজে পেয়েছেন অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের কোচ জাস্টিন ল্যাঙ্গার। শিষ্যদের এই দুঃসময় থেকেই ‘ভালো কিছু’ খুঁজে নিতে বলেছেন। বলেছেন সময়টাকে উপভোগ করতেও।

দর্শকশূন্য মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথমটি খেলার পরই বাতিল হয়ে গেছে সিরিজ। ঘরোয়া শেফিল্ড শিল্ডও দেখেছে অকাল সমাপ্তি। অস্ট্রেলিয়ার তারকা ক্রিকেটারদের খেলতে যাওয়ার কথা ছিল ভারতের আইপিএলে। সেটিও তো স্থগিত হয়ে আছে, এই মৌসুমে মাঠে গড়ানোর সম্ভাবনাও দিনকে দিনে কমে যাচ্ছে। আগামী জুনে টেস্ট খেলতে বাংলাদেশ আসার কথা অস্ট্রেলিয়ার, এরপর ওয়ানডে খেলতে যাওয়ার কথা ইংল্যান্ডে। শঙ্কার কালো মেঘ জমে আছে ওই দুই সিরিজের ওপরেও।

না চাইতেই পাওয়া গেছে ছুটি। অস্ট্রেলিয়ার কোচ ল্যাঙ্গার মনে করেন অনাকাঙ্ক্ষিত এই ছুটি একদিক দিয়ে উপকারই করেছে। তাঁর খেলোয়াড়েরা যে দম ফেলার ফুরসতই পাচ্ছিলেন না। অস্ট্রেলিয়ার বেশির ভাগ ক্রিকেটারই গত বিশ্বকাপের পর থেকে তিন সংস্করণেই নিয়মিত খেলে এসেছেন। এই তথ্যটা মনে করিয়ে দিয়েই পরশু পার্থের নিজের বাড়ি থেকে ল্যাঙ্গার বললেন, ‘এটি একান্তই আমার ব্যক্তিগত চিন্তা। আমি খেলোয়াড়দের উৎসাহিত করছি এ থেকে ভালো কিছু খুঁজে নিতে। আমি বোঝাতে চাচ্ছি আমরা তো মৌসুমের শেষের দিকেই ছিলাম। এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, শারীরিক ও মানসিকভাবে যতটা সম্ভব বিশ্রাম নেওয়ার।’

মাঠে খেলা নেই, তা নিয়ে চিন্তা করতেও বারণ করেছেন ল্যাঙ্গার, ‘আমরা বাড়িতে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছি, নিজের বিছানায় ঘুমাচ্ছি, বাড়িতে তৈরি করা খাবার খাচ্ছি, এ ছাড়া কোনো না কোনোভাবে বাড়িতে থেকে কাজও তো করছি। এটাকে তাই নির্বাণ হিসেবেই দেখা যায়।’ দুঃসহ এই সময়ে ভবিষ্যতের জন্য নিজেদের প্রস্তুত করার কথাও বলেছেন ল্যাঙ্গার, ‘এটা ওদের শারীরিক ও মানসিকভাবে চাঙা হওয়ার ভালো সুযোগ হিসেবে এসেছে। ভবিষ্যতে যা-ই ঘটুক না কেন, আমাদের সেসবের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।’

খেলা না থাকলেও ল্যাঙ্গার নিয়মিতই যোগাযোগ রাখছেন শিষ্যদের সঙ্গে। পরামর্শ দিচ্ছেন যতটা সম্ভব অনুশীলন চালিয়ে যেতে ও শারীরিকভাবে সুস্থ থাকতে।