স্ত্রীর কথায় বিরক্ত হাফিজ

সস্ত্রীক হাফিজ। ছবি: হাফিজ টুইটার
সস্ত্রীক হাফিজ। ছবি: হাফিজ টুইটার
>করোনাভাইরাসের কারণে বাকি সবার মতো গৃহবন্দী পাকিস্তানি অলরাউন্ডার মোহাম্মদ হাফিজও। ঘরে বসে থেকে স্ত্রীর কথা শুনতে শুনতে বিরক্ত এই তারকা

বাইরে বের হওয়া মানা। বের হলেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর আওতায় চলে আসতে হবে। সব রকমের মানবসংস্পর্শ এড়িয়ে চলতে হবে। তবেই হার মানবে করোনাভাইরাসের মতো প্রাণঘাতী মহামারি। মোহাম্মদ হাফিজও তাই উপায় না পেয়ে ঘরে বসে আছেন।

সারা বিশ্বে কোথাও খেলা হচ্ছে না। এমনকি খেলোয়াড়েরা অনুশীলনও করতে পারছেন না। অলস সময় কাটানোর জন্য কেউ টয়লেট রোল নিয়ে জাগল করে সেটার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দিচ্ছেন। এই দলে আছেন লিওনেল মেসি থেকে শুরু করে জামাল ভূঁইয়া, সার্জিও রামোস, মার্সেলো, করিম বেনজেমা, ফ্রান্সেসকো টট্টি, মুস্তাফি, ব্রুনো ফার্নান্দেজরা। কেউ আবার সিরিজ-সিনেমা দেখে সময় কাটাচ্ছেন। সেস্ক ফ্যাব্রেগাস যেমন। প্লে-স্টেশনে খেলে সময় কাটাচ্ছেন মার্কো আসেনসিওরা। হাত কীভাবে ধুতে হয়, সে শিক্ষা সবাইকে দিচ্ছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো, অ্যালিসন বেকাররা। মানুষকে বাসার বাইরে না যাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন মোটামুটি সবাই।

মোহাম্মদ হাফিজ অত শত করেননি। তিনি চুপচাপ বাসাতেই আছেন। আর এই বাসাতে থাকতে থাকতেই বিরক্ত হয়ে উঠেছেন। কেন? বাসায় থাকা মানে চব্বিশ ঘণ্টা স্ত্রীর সঙ্গে বসবাস। কাজ থাকলে, খেলা থাকলে বা অনুশীলনে গেলে তাও স্ত্রীর সঙ্গে দিনের একটা বড় অংশ দেখা হয় না, এখন তো সেটাও হচ্ছে না। কোয়ারেন্টিনের দিনগুলিতে তাই স্ত্রীর বকবক শুনতে শুনতে কান বড় হয়ে গেছে হাফিজের। এমনটা আর কেউ নয়, হাফিজই বলেছেন!

টানা পাঁচ দিন ধরে শুধু বউয়ের কথা শুনছেন হাফিজ। আর তাতেই ত্যক্ত-বিরক্ত তিনি। নিজের ‘বিরক্তি’ প্রকাশ করেছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে। সেখানে বড় আকৃতির কানের একজন মানুষের ছবি পোস্ট করেছেন তিনি। ছবির ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘পাঁচ দিন ধরে ঘরে বসে স্ত্রীর কথা শুনতে শুনতে আমার অবস্থা এখন এমন!’ এর আগেও শিখর ধাওয়ান স্ত্রীর কড়া শাসনের মধ্যে আছেন এমন এক ভিডিও রিটুইট করে বলেছেন, ‘ভাই, আমারও একই অবস্থা।’

করোনা যেভাবে চারদিকে থাবা হানছে, তাতে খুব শিগগিরই হাফিজরা ঘর থেকে বের হতে পারবেন বলে মনে হয় না। পাঁচ দিনেই তাঁর এই অবস্থা হলে, বাকি দিনগুলোতে কী হবে!