করোনাকে হারিয়ে অনুশীলনের অপেক্ষায় দিবালা

করোনাভাইরাসের আক্রমণ কাটিয়ে অনেকটাই সুস্থ হয়ে উঠেছেন পাওলো দিবালা। ফাইল ছবি
করোনাভাইরাসের আক্রমণ কাটিয়ে অনেকটাই সুস্থ হয়ে উঠেছেন পাওলো দিবালা। ফাইল ছবি
>করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে কয়েকটা দিন বেশ কঠিন সময় কেটেছে পাওলো দিবালার। এখন তিনি অনেকটাই সুস্থ

শ্বাসপ্রশ্বাসে সমস্যা, মনে হতো এখনই মারা যাবেন! এর সঙ্গে ছিল তীব্র গা-ব্যথা। করোনাভাইরাসের আক্রমণে কয়েকটা দিন বেশ কঠিন সময়ই কেটেছে পাওলো দিবালার। তবে কঠিন দিন পার করে এখন অনেকটাই ভালো হয়ে উঠেছেন জুভেন্টাসের আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড। জুভেন্টাসের ওয়েবসাইটে এক ভিডিও বার্তায় বিশ্বজোড়া ভক্তকূলকে আশ্বস্ত করে জানিয়েছেন, এখন তিনি অনেকটাই সুস্থ আর শিগগিরই অনুশীলনে নামার আশা করছেন।

বিশ্বজুড়ে তাণ্ডব চালিয়ে যাচ্ছে করোনা। যার প্রভাবে থমকে গেছে ক্রীড়াবিশ্ব। দেশে দেশে বন্ধ হয়ে গেছে সব ধরনের খেলা। বিশ্বজোড়া সব মানুষের মতোই খেলোয়াড়েরা নিজেদের রেখেছেন ঘরবন্দী করে। এরই মধ্যে গত ২১ মার্চ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন দিবালা। আক্রান্ত হয়েছিলেন তাঁর প্রেমিকা ওরিয়ানা সাবাতিনিও। এখন দুজনেই ভালো আছেন বলে জানিয়েছেন দিবালা।

জুভেন্টাসের ওয়েবসাইটে দিবালা বলেছেন, ‘আমি ভালো বোধ করছি। বিশেষ করে আগের চেয়ে অনেক ভালো। আমার শরীরে খুব ভয়ংকর লক্ষণ দেখা দিয়েছিল। বিশেষ করে দুটি দিন তো খুব কঠিন সময় গেছে। আজ অনেকটাই ভালো লাগছে। আর কোনো লক্ষণও টের পাচ্ছি না। আগের চেয়ে অনেক ভালোভাবে নড়াচড়া করতে পারছি। আশা করছি শিগগিরই অনুশীলনে নামার চেষ্টা করতে পারব।’

করোনার আক্রমণের কয়েকটা দিন যে কী কঠিন গেছে সেটাও ভক্তদের বলেছেন দিবালা, ‘লক্ষণগুলো যখন খুব বেশি করে দেখা দিয়েছিল, সময়টা খুব অস্বস্তিতে কেটেছে। অল্পতেই হাঁপিয়ে উঠতাম। শ্বাসও নিতে কষ্ট হতো। তাই কিছু করতেও পারতাম না। মিনিট পাঁচেকের মধ্যেই ক্লান্ত হয়ে পড়তাম। শরীর ভারী হয়ে যেত আর শরীরে তীব্র ব্যথা করত। তাই চুপচাপ বসে থাকতে হতো।’

করোনার আক্রমণের শিকার জুভেন্টাসের তৃতীয় খেলোয়াড় দিবালা। তাঁর আগে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন জুভেন্টাসের দানিয়েলে রুগানি ও ব্লেইস মাতুইদি। এরপর তুরিনের ক্লাব তাদের সব খেলোয়াড়দের হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠিয়ে দেয়। ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো, গঞ্জালো হিগুয়েইন, দগলাস কস্তারা যাঁর যাঁর দেশে ফিরে গেছেন।

করোনার আক্রমণ কাটিয়ে সুস্থ হয়ে ফেরায় সৃষ্টিকর্তাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন দিবালা, ‘ভাগ্য ভালো যে আমি আর আমার প্রেমিকা এখন অনেকটাই সুস্থ।’