জীবন বাঁচাতে তিনি এখন 'ডেলিভারি গার্ল'

বাড়ির গ্যারেজে খাবারের প্যাকেট হাতে কেটি সোয়ান (বাঁয়ে)। ছবি: সংগৃহীত
বাড়ির গ্যারেজে খাবারের প্যাকেট হাতে কেটি সোয়ান (বাঁয়ে)। ছবি: সংগৃহীত

চুলোয় যাকগে খেলা। আগে তো জীবন বাঁচাতে হবে। এমনটা ভেবে বেশির ভাগ খেলোয়াড়ই নিজেদের রেখেছেন ঘরবন্দী করে। হ্যাঁ, লিওনেল মেসি, ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোরা ঘরে বসেই করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করছেন অথ র্সাহায্য করে। তবে একজন আছেন, যিনি ব্যতিক্রম। সংক্রমণের ভয়কে পাশে সরিয়ে রেখে সরাসরি নেমে গেছেন করোনার বিরুদ্ধে লড়াই জিততে।

করোনার বিরুদ্ধে মাঠে নেমে পড়া সেই খেলোয়াড়টি আর কেউ নন, ব্রিটিশ টেনিস তারকা কেটি সোয়ান। টেনিস কোর্ট ছেড়ে, র‍্যাকেট তুলে রেখে তিনি রীতিমতো যুদ্ধ করছেন করোনাভাইরাস মহামারির বিরুদ্ধে। টেনিস খেলোয়াড় থেকে বনে গেছেন ‘ডেলিভারি গার্ল’। ব্রিস্টলে জন্ম নেওয়া সোয়ান এখন বাবা-মায়ের সঙ্গে থাকেন যুক্তরাষ্ট্রের কানসাসে। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রেই করোনার প্রভাবটা সবচেয়ে বেশি।

কানসাসে একটি চ্যারিটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত সোয়ানের মা নিকি। প্রতিষ্ঠানটির নাম ‌‘বিগ ব্রাদার, বিগ সিস্টার’। করোনাভাইরাস মহামারির এই কঠিন দিনে সংগঠনটি দুস্থ পরিবারের মাঝে খাবার বিতরণ করছে। প্রায় প্রতিদিনই অনেক পরিবারকে খাবার বিতরণ করছে তারা। সেই খাবারের বড় একটা অংশের প্যাকেজিং হয় সোয়ানদের কানসাসের উইচিটার বাড়ির গ্যারেজে। মা-বাবার সঙ্গে সেই খাবার প্যাকেটজাত করেন সোয়ান।

শুধু প্যাকেট করলেই তো আর চলবে না, খাবার পৌঁছে দিতে হবে দুস্থ পরিবারগুলোর দরজায়। করোনার এই কঠিন সময়ে ঘর থেকে বের হয়ে কেই-বা কঠিন সেই কাজটি করতে চায়! কিন্তু সোয়ান সব ভয়কে পাশে সরিয়ে রেখে মায়ের সঙ্গে গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে পড়েন সেই খাবার বিতরণ করতে। ব্রিটেনের ফেড কাপ দলের সদস্য বলেন, ‘মা গত দুই সপ্তাহ ধরে প্রায় প্রতিদিনই সুপারশপে যাচ্ছেন। তিনি ওই পরিবারগুলোর জন্য কিছু করতে চান। ওদের অনেকে ভয়ে বাড়ি থেকে বের হয় না। অনেকের আবার ছোট ছোট অনেক ছেলেমেয়ে আছে, ওদের বাড়িতে রেখে বের হতে পারে না।’

টেনিস সার্কিটে ব্রিটিশ নম্বর সাত বলে যা, ‘মা সুপারশপ থেকে খাবারগুলো নিয়ে আসে। আমি বাড়িতে প্যাকেট করি আর এর রক্ষণাবেক্ষণ করি।’ করোনার এই কঠিন দিনে মানুষের কষ্ট ২১ বছর বয়সী সোয়ানকে ছুঁয়ে যায় খুব, ‘এই তো সেদিন এক মা, যাঁর একটি ছেলে আছে। তাঁর অবস্থাও খুব একটা ভালো নয়। মাকে ফোন দিয়ে ধন্যবাদ জানাচ্ছিল আর কাঁদছিল। এটা খুবই আবেগী একটা ব্যাপার।’