মায়ের মুখটা শেষবারের মতো দেখা হলো না হাবিবুলের

জীবন নদীর ওপারে চলে গেছেন হাবিবুল বাশারের মা।
জীবন নদীর ওপারে চলে গেছেন হাবিবুল বাশারের মা।

সময়টা এখন ভালো নয়। করোনাভাইরাসের সংক্রমণে সবার দিন কাটছে আতঙ্ক আর উদ্বেগে। সবাইকে থাকতে হচ্ছে ঘরবন্দী। কঠিন এই পরিস্থিতিতে বড় দুঃসংবাদ পেলেন হাবিবুল বাশার। বার্ধক্যজনিত রোগে আক্রান্ত তাঁর মা রিজিয়া বেগম আজ বেলা দুইটার দিকে মৃত্যুবরণ করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মা হারানোর কষ্ট তো আছেই। মৃত্যুর পর শেষবারের মতো মায়ের মুখটাও দেখা হলো না হাবিবুলের।

দুপুরে মারা যাওয়ার পরই হাবিবুল চেয়েছিলেন কুষ্টিয়ায় রওনা দিতে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে এখন সারা দেশে যে পরিস্থিতি, পরিবার থেকে সিদ্ধান্ত হয় দাফন করা হবে খুব দ্রুত। হাবিবুলসহ দূর থেকে অন্য আত্মীয়স্বজনকে তাই নিরুৎসাহিত করা হয় আসতে। রত্নগর্ভা মায়ের মুখটা শেষবারের মতো দেখা হয়নি হাবিবুলের। পাঁচ দিন আগে অবশ্য বাড়িতে মাকে দেখে এসেছিলেন তিনি। কে জানত, সেটাই হবে মায়ের সঙ্গে তাঁর শেষ দেখা।

‘বাড়ির সবাই বলল, দ্রুত দাফন করবে, এই পরিস্থিতিতে ঢাকা থেকে আসার দরকার নেই। কদিন আগে মাকে দেখে এসেছি। বুঝিনি ওটাই হবে আমার শেষ দেখা, এত কষ্ট লাগছে...’—কান্নার স্রোতে কথা শেষ করতে পারলেন না হাবিবুল। তাঁর ভাই কাজী এমদাদুল বাশার জানান, সন্ধ্যায় বাদ মাগরিব পৌর গোরস্থানে দাফন করা হয়েছে তাঁর মায়ের লাশ।

বাবা কাজী মোতালেব উদ্দীন মারা গেছেন ২০১৮ সালের ৩০ জানুয়ারি। মেজ ভাই সাবেক ফুটবলার একরামুল বাশার ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন তিন বছর আগে। আজ মাকেও হারালেন। কর্মব্যস্ততার ফাঁকে মাকে দেখতেই কুষ্টিয়া যেতেন হাবিবুল। বাড়িতে হয়তো সামনে আরও যাওয়া হবে। কিন্তু মাকে আর দেখা হবে না।