করোনার ক্ষতি পোষাতে চার মাস বেতন নেবেন না তাঁরা

চারমাস বেতন নেবেন না জুভেন্টাসের খেলোয়াড়েরা
চারমাস বেতন নেবেন না জুভেন্টাসের খেলোয়াড়েরা
>করোনাভাইরাসের ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে চার মাসের বেতন না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জুভেন্টাসের সকল খেলোয়াড় ও কোচ। এক বিবৃতিতে বিষয়টা জানিয়েছেন ক্লাবটি

পৃথিবীর আজ ঘোর দুঃসময়। করোনাভাইরাসের আক্রমণে মানুষজন আজ কর্মহীন, প্রাণভয়ে গৃহে অলস সময় কাটাচ্ছেন সবাই। ফুটবলাররাও এর ব্যতিক্রম নন।

কিন্তু শীর্ষ পর্যায়ের ফুটবলাররা যে বেতন পান সাধারণত, তাতে বেশ কয়েক মাস ঘরে শুয়ে-বসে কাটালেও সমস্যা হওয়ার কথা না। এমনটা বাকি পেশার মানুষদের ক্ষেত্রে বলা যাবে না। বিশেষ করে প্রান্তিক আয়ের মানুষদের এর মধ্যেও জীবিকা অর্জনের চিন্তা করতে হয়। কারণ, করোনায় মারা না গেলেও, ক্ষুধা জীবন কেড়ে নেবে যে!

একটা ক্লাবের ফুটবলার ও কোচ ছাড়া বাকি কর্মচারীদের অবস্থাও একই। অনিশ্চিত এক ভবিষ্যতের মুখোমুখি তাঁরা। সেই অনিশ্চয়তা একটু হলেও যাতে কেটে যায়, সে জন্য পদক্ষেপ নিয়েছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোরা। আগামী চার মাস ক্লাবের কাছ থেকে বেতন নেবেন না বলে জানিয়েছেন তাঁরা। জুভেন্টাস ক্লাব কর্তৃপক্ষই নিশ্চিত করেছে খবরটি।

গার্ডিয়ানের একটি প্রতিবেদনে জানা গেছে, চুক্তি অনুযায়ী মার্চ, এপ্রিল, মে ও জুন মাস— এই চার মাসের বেতন নেবেন না ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোরা। এই চার মাসে কোচ ও খেলোয়াড়দের বেতন থেকে কাটা অর্থের পরিমাণ দাঁড়াবে ৯০ মিলিয়ন ইউরোর মতো। সেটা দিয়ে ক্লাব কর্মচারীদের বেতন ও অন্যান্য ফি পরিশোধ করা হবে বলে জানিয়েছে জুভেন্টাস।

করোনাভাইরাস মহামারি আকার ধারণ করায় বিশ্বের প্রায় সব দেশেই খেলাধুলা আপাতত স্থগিত। অনির্দিষ্টকালের জন্য ঘরোয়া সকল ফুটবল স্থগিত করেছে ইতালি। গত ৯ মার্চ থেকে স্থগিত হয়ে আছে দেশটির শীর্ষ ফুটবল লিগ সিরি ‘আ’। সংক্রামক এই ভাইরাস ইউরোপে সবচেয়ে বড় আঘাত হেনেছে ইতালিতেই। করোনাভাইরাসে ইতালিতে প্রাণহানির সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়েছে। শনিবারের তথ্য অনুযায়ী, দেশটিতে ২৪ ঘণ্টায় মৃতের তালিকায় যুক্ত হয়েছে ৮৮৯ জন। এর আগে ইতালিতে ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চসংখ্যক ৯৭৯ জনের প্রাণহানি ঘটে।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা শনিবার জানায়, ইতালিতে করোনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ২৩ জনে। জন হপকিন্স ইউনিভার্সিটির তথ্য মতে, এই সময় পর্যন্ত ইতালিতে করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়া মানুষের সংখ্যা ৯২ হাজার ৪৭২ জন। এর মধ্যে মাত্র ১২ হাজার ৩৮৪ জন সুস্থ হয়েছেন।

যদিও এখনো মৌসুমই শেষ হয়নি। লিগের সভাপতি গত সপ্তাহে জুলাই পর্যন্ত খেলা চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন। জুভেন্টাসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, মৌসুম আবার শুরু হলে তখন বেতনের ব্যাপারে দুই পক্ষ আলোচনার মাধ্যমে সমঝোতায় পৌঁছাবে।

করোনা আঘাত হেনেছে জুভেন্টাসের। এ পর্যন্ত দলটার তিনজন খেলোয়াড়— দানিয়েল রুগানি, ব্লেইজ মাতুইদি ও পাওলো দিবালার মধ্যে সংক্রমিত হয়েছে এই ভাইরাস। দিবালা অবশ্য এর মধ্যেই সুস্থ হয়ে অনুশীলন শুরু করে দিয়েছেন।