স্বপ্ন এক বছর পেছানোয় হতাশ

নাওমি ওসাকা
নাওমি ওসাকা
>জাপানের নারী টেনিস তারকা নাওমি ওসাকা হতাশ করোনাভাইরাসের কারণে টোকিও অলিম্পিক এক বছর পিছিয়ে যাওয়ায়

নাওমি ওসাকা হতাশ। জাপানের নারী টেনিস তারকা হতাশ করোনাভাইরাসের কারণে টোকিও অলিম্পিক এক বছর পিছিয়ে যাওয়ায়। দেশের মাটির অলিম্পিককে ঘিরে স্বপ্ন তো কম দেখেননি দুটি গ্র্যান্ড স্লামের মালিক। তবে হতাশ হলেও অলিম্পিক পেছানোকে সঠিক সিদ্ধান্তই মনে করছেন ওসাকা।

২২ বছর বয়সী টেনিস তারকা মনে করেন এখন খেলাধুলা করার সময় নয়, ‘খেলাধুলা আবার আমাদের ঐক্যবদ্ধ করবে, এটা চিরকালই এমন থাকবে। তবে ওই সময়টা এখন নয়। এবার অলিম্পিক না হওয়ায় একটু হতাশ। তবে আমরা সবাই ২০২১ সালে আরও শক্তিশালী হয়ে ফিরব। যত বেশি সম্ভব মানুষের জীবন বাঁচাতে সব দেশের, সব শ্রেণির, সব জাতির মানুষের এক হওয়ার সময় এখন।’

অলিম্পিক পিছিয়েছে। আগামী জুন পর্যন্ত বন্ধ সব ধরনের টেনিস টুর্নামেন্ট। তাতে ওসাকাদের মতো তারকাদের তেমন কোনো অসুবিধা হবে না। তবে টেনিসের নিচু সারির খেলোয়াড়েরা বেশ বিপদেই পড়েছেন। তাঁদের আয়রোজগার তো আর সেরেনা, ফেদেরার কিংবা ওসাকাদের মতো নয়। এমন অনেক খেলোয়াড়ই আছেন যাঁরা কিনা পকেটে ‘মাত্র ১০০ ডলার’ নিয়ে বিভিন্ন টুর্নামেন্ট খেলতে যান।

এমনই একজন খেলোয়াড় সোফিয়া শাপাতাভা। জর্জিয়ান এই নারী খেলোয়াড় মূলত ইন্টারন্যাশনাল টেনিস ফেডারেশন (আইটিএফ) আয়োজিত নিচু সারির টুর্নামেন্টে খেলে থাকেন। শাপাতাভার আশঙ্কা, এমন অনেক খেলোয়াড় আছেন যাঁরা খাবার কিনতেও হিমশিম খাবেন, ‘র‍্যাঙ্কিংয়ে ২৫০–এর নিচে আছেন দুই–তিন সপ্তাহ পরে তাঁদের খাবার কেনার সামর্থ্যও থাকবে না।’

এই আশঙ্কা থেকেই আইটিএফকে মেইল করেছেন টেনিস খেলা শাপাতাভা। তবে তাঁর ধারণা আইটিএফ কিছুই করবে না, ‘আমার মনে হয় না তারা কিছু করবে। তারা উত্তর দিয়েছে এ মুহূর্তে তাদের হাতে অনেক কাজ, তবে সময় পেলেই আমার সঙ্গে যোগাযোগ করবে। এরপর অবশ্য তারা আর কোনো মেইলেরই উত্তর দেয়নি।’

১৬ বছরের ক্যারিয়ারে শাপাতাভা আয় প্রায় সাড়ে ৩ লাখ ডলার। তবে এ বছর মাত্র ৩ হাজার ডলার আয় করেছেন তিনি। নিজেকে নিয়ে নয় শাপাতাভার দুশ্চিন্তা কেসেনিয়া কোলেসনিকোভার মতো খেলোয়াড়দের নিয়ে। বিশ্ব র‍্যাঙ্কিংয়ের ১২৮৩ নম্বরে থাকা রুশ মেয়ে ২০২০ সালে টেনিস খেলে রোজগার করেছেন মাত্র ৬৮ ডলার। এ কারণে অন্য টেনিস খেলোয়াড়দের সঙ্গে নিয়ে আইটিএফকে চাপ দিতে কাজ শুরু করে দিয়েছেন শাপাতাভা।