চেরনোবিলের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে করোনা

ইউক্রেনেও ছড়িয়ে পড়েছে করোনা। ছবি: এএফপি
ইউক্রেনেও ছড়িয়ে পড়েছে করোনা। ছবি: এএফপি

চেরনোবিল দুর্ঘটনার কথা ভেবে এখনো মানুষ আঁতকে ওঠেন। ১৯৮৬ সালের সে দুর্ঘটনা সরাসরি ৫৪টি প্রাণ কেড়ে নিয়েছিল। আর এ দুর্ঘটনার ফলে সৃষ্ট পারমাণবিক তেজস্ক্রিয়ার ফলে পরবর্তীতে প্রাণ হারিয়েছেন আরও হাজারো মানুষ। বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসের প্রকোপ দেখে সেই ভয়াবহ দিনগুলোর কথা মনে পড়ছে আন্দ্রেই শেভচেঙ্কোর।

ইউক্রেনের সাবেক কিংবদন্তি ফরোয়ার্ড ও বর্তমান কোচের খুব ভালোভাবেই মনে আছে চেরনোবিল দুর্ঘটনার সেই ভয়াবহ স্মৃতি। মৃতের সংখ্যায় করোনা এরই মাঝে ছাড়িয়ে গেছে চেরনোবিলকে। ইউক্রেন অবশ্য ইতালি বা স্পেনের মতো ভয়ংকর রূপ এখনো দেখেনি। এখন পর্যন্ত ১০ জনকে হারিয়েছে দেশটি। তবু শেভচেঙ্কোর মনে হচ্ছে এমন ভয়াবহতা আর একবারই শুধু দেখেছেন জীবনে, 'প্রায় একই পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে গিয়েছি আমি। সে সময় আমার বয়স ছিল নয় বছর।'

চেরনোবিল দুর্ঘটনার সঙ্গে করোনাভাইরাসের পার্থক্য আছে বেশ। ইউক্রেনের সে দুর্ঘটনায় ভুক্তভোগীদের কোনো উপায় ছিল না। কিন্তু করোনার ক্ষেত্রে একটু সাবধানতাই বাঁচাতে পারে হাজারো প্রাণ। স্কাই স্পোর্টসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শেভচেঙ্কো সবাইকে তাই সাবধান হতে বলছেন, ‘আমাদের শুধু একটা কাজই করতে হবে আর সেটা হলো বোকামি না করা। আমরা কেউই নিশ্চিত না যে আমরা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছি কি হইনি। আমাদের বাইরে যাওয়া তাই ঠিক হবে না। আমাদের শুধু নিজেকে নিয়ে ভাবলে চলবে না। যারা এতে আক্রান্ত হলে মহা বিপদে পড়বে তাদের কথাও ভাবতে হবে।’

৪৩ বছর বয়সী সাবেক এই ফুটবলার ক্যারিয়ারের সেরা সময়টা কাটিয়েছেন সিরি ‘আ’তে। করোনার সবচেয়ে ভয়ংকর রূপটা দেখছে ইতালি। সাড়ে ১০ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু ডেকে এনেছে এই ভাইরাস। এ অবস্থায় শেভচেঙ্কো সবাইকে বলছেন, কর্তৃপক্ষের কথা শুনতে, কারণ বেঁচে থাকতে চাইলে অন্য কিছু করার সুযোগ নেই, ‘একমাত্র নিদান হলো সরকারের আদেশ মানুন এবং ঘরে থাকুন। চিকিৎসকদের কাজ করার সুযোগ দিন। তাঁদের হাতে এখন অনেক দায়িত্ব। তাঁদের পর্যাপ্ত স্বেচ্ছাসেবক নার্স দিন, বর্তমান সময়ের নায়ক তাঁরা। যা করছেন, তাতে অবশ্যই ধন্যবাদ প্রাপ্য তাদের।’