কোয়ারেন্টিন থেকেই আড্ডা মারছেন নেইমার

কে বলবেন কোয়ারেন্টিনে আছেন নেইমার! ছবি: ইনস্টাগ্রাম
কে বলবেন কোয়ারেন্টিনে আছেন নেইমার! ছবি: ইনস্টাগ্রাম
>বন্ধুদের সঙ্গে নিয়েই কোয়ারেন্টিন অবস্থায় আছেন নেইমার। আড্ডা-খেলাধুলা সব করছেন নিজের বাড়িতে।

করোনার ভয়ে ফ্রান্স ছেড়ে ব্রাজিল চলে এসেছেন। কিন্তু মহামারি হয়ে ছড়িয়ে পড়া এই ভাইরাস থেকে বাঁচতে যে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত সেটা কই মানছেন নেইমার! স্বেচ্ছাবন্দী থাকার কথা, কারও সঙ্গে না মেশার কথা। কিন্তু নেইমার দিব্যি বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিয়ে, খেলে সময় কাটাচ্ছেন। যদিও পিএসজির এই ব্রাজিলিয়ান তারকার মুখপাত্র দাবি করেছেন, বন্ধুদের সঙ্গে নিয়েই নাকি তিনি কোয়ারেন্টিন অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন। আড্ডা-খেলাধুলা সব করছেন নিজের বাড়িতে।

করোনাভাইরাসের প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়েছে ইউরোপে। ফ্রান্সেও দিন দিন বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। সেই তুলনায় দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলোর অবস্থা কিছুটা ভালো। এটা ভেবেই কি না, ফ্রান্সে করোনা ছড়িয়ে পড়ার শুরুর দিকেই নেইমার ব্যক্তিগত বিমানে করে চলে গেছেন ব্রাজিলে নিজের বাড়িতে।

স্বাস্থ্য সতর্কতা হিসেবে নেইমারের এখন নিজের বাড়িতে স্বেচ্ছাবন্দী থাকার কথা। তবে কয়েক দিন আগে নেইমার নিজেই ইনস্টাগ্রামে কিছু ছবি দিয়েছেন। যেখানে দেখা যাচ্ছে, বন্ধুদের সঙ্গে তিনি আনন্দ-উল্লাস করেছেন, সূর্যস্নানে মেতে উঠেছেন, ভলিবল খেলছেন। দেখে মনেই হতে পারে, নেইমার বোধ হয় সতর্কতা অবলম্বন করছেন না।

তবে ব্রাজিলের একটি টেলিভিশনে সম্প্রতি নেইমারের মুখপাত্র ব্যাপারটা খোলাসা করেছেন, ‘ছবিতে নেইমারের সঙ্গে যাদের দেখা যাচ্ছে তারা সবাই নেইমারের সঙ্গেই ওর ব্যক্তিগত বিমানে করে ব্রাজিলে এসেছেন ফ্রান্স থেকে। নেইমার নিজেই ওদের আমন্ত্রণ জানিয়েছে ওর বাড়িতে ১৪ দিন কোয়ারেন্টিন থেকে পরে পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার জন্য।’

ওই মুখপাত্র আরও নিশ্চিত করেছেন, ২৮ বছর বয়সী ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড এই কয়েক দিনে কোয়ারেন্টিনের নিয়ম মেনেই চলেছেন। এই সময়ে তিনি নিজের ছেলে ডাভি লুকা ছাড়া আর কারও সঙ্গে দেখা করেননি। এমনকি নিজের মা, নানী এবং বোনের সঙ্গেও না। বিবৃতিতে আরও উল্লেখ আছে, বাড়িতে থাকা সবাই কোয়ারেন্টিনের নিয়ম মেনে চলছেন। স্বেচ্ছা বন্দী থেকেই নেইমার নিজের ফিটনেস নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। এই বিবৃতির পর হয়তো নেইমারকে নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি কিছুটা কমবে।