কেউ পদ্মার চরে, কেউ বারান্দায় ঝালিয়ে নিচ্ছেন নিজেদের

সাবিনা খাতুন ও নাহিদুল ইসলাম। ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া
সাবিনা খাতুন ও নাহিদুল ইসলাম। ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া
>নিজের মতো করে অনুশীলন চালিয়ে যাচ্ছেন বাংলাদেশের জাতীয় নারী ফুটবল দলের অধিনায়ক সাবিনা ও ছেলেদের দলের ডিফেন্ডার নাহিদুল

বাসার বারান্দায় পাকা মেঝেতে নির্দিষ্ট দূরত্বে হলুদ মার্কার সাজানো। মাঠে অনুশীলনে যেভাবে সাজানো থাকে আর কী! তার মধ্যে দিয়ে বল নিয়ে এঁকেবেঁকে কেডসের সোলের টানে বের হয়ে যাচ্ছেন সাবিনা খাতুন। জাতীয় নারী ফুটবল দলের অধিনায়কের এমন অনুশীলনের চিত্র প্রশংসা কুড়িয়েছে। করোনা সংকট কালীন সময়ে ইচ্ছে থাকলে ঘরে থেকেও যে বলের সঙ্গে সম্পর্ক রাখা যায়, সাবিনার অনুশীলনের ভিডিও তারই প্রমাণ।

সাবিনা যখন ঘরের পাকা মেঝেকে বেছে নিয়েছেন, পুরুষ জাতীয় ফুটবল দলে খেলার অভিজ্ঞতা থাকা ফুলব্যাক নাহিদুল ইসলাম অনুশীলনের জন্য বেছে নিয়েছেন পদ্মার চর। তপ্ত বালুতে ফিটনেস ঠিক রাখার সঙ্গে বল নিয়েও অনুশীলন করছেন তিনি। এ ছাড়া জাতীয় দলের পাইপলাইনে থাকা আরেক ডিফেন্ডার মাহমুদুল হাসান কিরণ অনুশীলনের জন্য বেছে নিয়েছেন স্কুলের বালুর মাঠকে।

সাবিনা খাতুন
ছুটি পেয়ে সাতক্ষীরার বাড়িতে আগেই চলে গিয়েছেন সাবিনা। তবে শুয়ে-বসে শরীরে ‘মরিচা’ ধরানোর মতো খেলোয়াড় নন এই গোল মেশিন। লিগ শুরু হলে আবারও গোলের বন্যা বইয়ে দিতে হবে তাঁকে। তাই ছোট বাড়ির পাকা মেঝেতেও চলছে অনুশীলন। বল জাগলিং, দৌড়-কোনো কিছুই বাদ রাখছেন না বাংলাদেশ ও বসুন্ধরা কিংসের অধিনায়ক। অথচ দুর্ঘটনা বশত একটু পড়ে গেলেই কেল্লা ফতে!

প্রথম আলোকে শুনিয়েছেন তাঁর কোয়ারেন্টিন কালের অনুশীলনের গল্প, ‘প্রতিদিন সকালেই বাড়ির বারান্দার মেঝেতে অনুশীলন করছি। বল নিয়ে দৌড়ানো ছাড়াও স্পিড ওয়ার্ক করছি সাবধানে থেকে। এ ছাড়া ফিটনেসের জন্য কিছু অনুশীলন তো ঘরে বসেও করা যায়, সেগুলোও করছি।’

নাহিদুল ইসলাম
বছর খানেক আগেও দেশের অন্যতম সেরা প্রতিভাবান ডিফেন্ডার ভাবা হতো নাহিদুলকে। খুব অল্প বয়সেই নেদারল্যান্ডসের কোচ লোডভিক ডি ক্রুইফ জাতীয় দলে সুযোগ দিয়েছিলেন তাঁকে। চোটে পড়ে বছর খানেক ছিলেন মাঠের বাইরে। এই মৌসুমে আবার রহমতগঞ্জের জার্সিতে তাঁর ফেরাটা হয়েছে দুর্দান্ত। পুরান ঢাকার দলের হয়ে নিয়মিত ম্যাচ খেলছেন। ফেডারেশন কাপে প্রথমবারের মতো রহমতগঞ্জের রানার্সআপ হওয়ার পেছনেও আছে নাহিদুলের গুরুত্বপূর্ণ অবদান।

মৌসুমটা যখন ভালোই চলছে, তখন খেলা স্থগিত থাকলেও ফিটনেস ধরে রাখতে মরিয়া তিনি। তাই রাজশাহীর বাড়িতে গিয়েও নেমে পড়েছেন পদ্মার চরে, ‘এমনি মাঠের চেয়ে বালির মধ্যে অনুশীলন করলে ফিটনেস ভালো থাকে, আগের পর্যায় থেকে আরও ভালো পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া যায়। তাই বাড়িতে এসে পদ্মা নদীর মাঝে জেগে ওঠা চড়া অনুশীলন করছি নিয়মিত।