আইপিএলের কারণেই দুবছর পেছাবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ?

এ বছরের অক্টোবরে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে দুনিয়ার সবকিছুই যে থমকে গেছে। এলোমেলো সব সূচি। এখনো পর্যন্ত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ছয় মাস বাকি থাকলেও এটি এ বছর না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠেয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দুই বছর পিছিয়ে অনুষ্ঠিত হতে পারে ২০২২ সালে।

করোনাভাইরাসের কারণে অলিম্পিক এক বছর পিছিয়ে গেছে। পিছিয়ে গেছে ২০২০ ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপও। লাতিন ফুটবলের শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই কোপা আমেরিকাও ইউরোর মতোই পিছিয়েছে এক বছর। বাতিল হতে পারে এ বছরের উইম্বলডনও। কিন্তু টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ কেন দুই বছর পিছিয়ে যাবে? জানা গেছে, এর মূল কারণ আইপিএল।

করোনাভাইরাসের কারণে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে এ বছরের আইপিএল। গত ২৯ মার্চ থেকে এটি শুরু হওয়ার কথা ছিল। আপাতত ভারতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা তৈরি করায় এ বছর আর আইপিএল না হওয়ার কথাও আলোচনা হয়েছে। কিন্তু আইপিএল আয়োজন করতে না পারলে বিরাট অঙ্কের আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হবে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকে। সে কারণে তারা বেশ মরিয়াই এটি আয়োজন করতে। ভারতীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, বিসিসিআই নাকি খুব করেই চাচ্ছে আইপিএলটা অক্টোবর-নভেম্বরে আয়োজন করতে। এটিকে জায়গা করে দিতে এখন আইসিসি নাকি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপও পিছিয়ে দিতে পারে। তবে যেহেতু ভারতেই ২০২১ সালে আরেকটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, তাই অস্ট্রেলিয়ার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হতে পারে ২০২২ সালে।

আইসিসির বিশেষ সূত্র টাইমস অব ইন্ডিয়া যা বলেছে, তাতেও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দুই বছর পিছিয়ে যাওয়ার ইঙ্গিত আছে, ‘টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পিছিয়ে দেওয়ার কথা উঠছে। কিন্তু নতুন সূচি অনুযায়ী এটি কবে অনুষ্ঠিত হবে। ভারত এ বছরের নভেম্বর-ডিসেম্বরে অস্ট্রেলিয়া সফর করবে। ২০২১ সালের জানুয়ারিতে অস্ট্রেলিয়ার ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি লিগ বিগব্যাশ। মার্চ বিশ্বকাপ আয়োজনের আদর্শ সময় নয়, কারণ ওই সময় ভারতে আইপিএল। টেলিভিশন সম্প্রচারকেরাও পরপর দুটি টি-টোয়েন্টি প্রতিযোগিতা প্রচার করতে চাইবে না। ২০২১ সালে ভারতেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ অনুষ্ঠানের কথা আগে থেকেই ঠিক করা। ভারত এটা করবেই। অস্ট্রেলিয়ার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পিছিয়ে গেলে সেটি ২০২২ ছাড়া তো কোনো সময় নেই।’