এক বছর বেতন না পেলেও বাঁচবে ফুটবলাররা

ফুটবলারদের বেতন কাটার পক্ষে বোকা জুনিয়সের্র স্ট্রাইকার কার্লোস তেভেজ। ফাইল ছবি
ফুটবলারদের বেতন কাটার পক্ষে বোকা জুনিয়সের্র স্ট্রাইকার কার্লোস তেভেজ। ফাইল ছবি

করোনাভাইরাস মহামারির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে পেশাদার ফুটবলারদের এগিয়ে আসার ডাক দিলেন কার্লোস তেভেজ। ফুটবলারদের এই লড়াইয়ে শামিল হওয়ার একটাই রাস্তা জানা আছে আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ডের। সেটা হলো, নিজেদের বেতনের অংশ থেকে ত্রাণের জন্য কিছু ছেড়ে দেওয়া।

এরই মধ্যে ইতালির ক্লাব জুভেন্টাস আর স্পেনের বার্সেলোনা তাদের ফুটবলারদের বেতন থেকে অর্থ কেটে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবগুলোও বিষয়টি নিয়ে ভাবছে। ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো, লিওনেল মেসি, কিলিয়ান এমবাপ্পেরা ব্যক্তিগত উদ্যোগে দান-দক্ষিণা করছেন। এরই মধ্যে বিভিন্ন দাতব্য প্রতিষ্ঠানে তাঁরা অর্থ দান করেছেন।

ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও ম্যানচেস্টার সিটির সাবেক ফুটবলার তেভেজ চান, অন্যরাও যেন এগিয়ে আসেন। বোকা জুনিয়র্সের স্ট্রাইকার মনে করেন, মানুষের জন্য কিছু করার সঠিক সময় এটাই। করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে তেভেজ বলেছেন, ‌‘একজন ফুটবলার ৬ মাস বা এক বছর বেতন না নিয়েও বেঁচে থাকতে পারবে।’

বিশ্বজোড়া অনেক মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করেন। তাঁদের কথা মনে করিয়ে দিয়ে তেভেজ আমেরিকা টিভিতে এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‌‘বিশ্বে এমন অনেকেই আছেন, পরিবারের লোকেদের খাবার জোগাড় করতে সকাল ৬টায় বাড়ি থেকে বের হয় আর সন্ধ্যা ৭টায় বাড়িতে ফেরে। আমাদের অবস্থা তো আর সেই সব মানুষদের মতো নয়।’

তেভেজ বলেছেন, বাড়িতে যাদের পর্যাপ্ত খাবার আছে তাঁদের পক্ষে বড় বড় অনেক কথা বলাই সম্ভব। কিন্তু যাঁরা দিন আনে দিন খায়, তাঁদের জন্য দিনের পর দিন ঘরে বসে থাকাটা সত্যিই খুব ভয়ংকর। এমন কঠিন সময়ে ক্লাবগুলোকে এগিয়ে আসতে বলছেন তেভেজ, ‘এই সময়ে ক্লাবগুলোও কিছু করতে পারে। খেলোয়াড়দের সকাল ৬টায় অনুশীলনে আসতে না বলে মানুষের উপকারে ঝাঁপিয়ে পড়তে বলতে পারে ক্লাব।’