গিনিপিগ নন ইতো-দ্রগবারা

ফ্রান্সের দুই চিকিৎসকের ওপর খেপেছেন বার্সার সাবেক স্ট্রাইকার স্যামুয়েল ইতো। ফাইল ছবি
ফ্রান্সের দুই চিকিৎসকের ওপর খেপেছেন বার্সার সাবেক স্ট্রাইকার স্যামুয়েল ইতো। ফাইল ছবি
>করোনাভাইরাসের প্রতিষেধকের পরীক্ষা আফ্রিকার মানুষদের ওপর করতে বলেছেন দুই ফরাসি চিকিৎসক। তাতে খেপেছেন সাবেক ফুটবলাররা

খেপে গেছেন দিদিয়ের দ্রগবা ও স্যামুয়েল ইতো। আফ্রিকার ইতিহাসে অন্যতম সেরা দুই ফুটবলার খেপেছেন ফ্রান্সের দুই চিকিৎসকের ওপর। ওই দুই চিকিৎসককে সরাসরি বর্ণবাদী বলেছেন দুজনই। ওই দুই চিকিৎসক করোনাভাইরাসের ওষুধ আফ্রিকার মানুষের ওপর পরীক্ষা করতে বলেছেন।

করোনাভাইরাসে কাঁপছে সারাবিশ্ব। মৃত্যুর মিছিল প্রতিদিনই যেমন লম্বা হচ্ছে, তেমনি এর প্রতিষেধক বের করার গবেষণাও এগিয়ে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। পরীক্ষামূলকভাবে প্রাণীদেগে ভ্যাকসিনের প্রয়োগও শুরু হয়ে গেছে। আর এরই মধ্যে কি না ফ্রান্সের দুই চিকিৎসক এমন কথা বললেন!

বৃহষ্পতিবার ফ্রেঞ্চ টেলিভিশন চ্যানেল লা শাইনে ইনফোতে লাইভ অনুষ্ঠান চলছিল করোনাভাইরাস নিয়ে। সেখানেই প্যারিসের কোচিন হাসপাতালের অধ্যাপত জাঁ–পল মিরা আচমকা বলে বসেন, ‘হয়তো বিতর্কিত শোনাবে, তবে এই গবেষণা কি আফ্রিকায় হওয়া উচিৎ নয়?’

অনুষ্ঠানে থাকা আরেক চিকিৎসক ফ্রান্সের জাতীয় মেডিক্যাল গবেষনা সেন্টারের কামিলা লোক্ট সায় দেন মিরার কথায়, ‘আপনি ঠিকই বলেছেন। আমরা এই মুহূর্তে বিসিজি (যক্ষার) নিয়ে গবেষণার জন্য আফ্রিকার কথা ভাবছি। প্রস্তাবটা অবশ্যই বিবেচনা করা উচিৎ।’

আফ্রিকার মানুষ কি পরীক্ষাগারের গিনিপিগ? এই প্রশ্ন তুলেই পাল্টা জবাব দিয়েছেন চেলসির হয়ে চারটি লিগজয়ী আইভরিকোস্ট ফরোয়ার্ড দ্রগবা, ‘এটা মেনে নেওয়া ঠিক হবে না। আমি কঠোরভাবে এই বর্ণবাদী ও ঘৃণা ছড়ানো মন্তব্যের বিরোধিতা করেছি। আমাদের গিনিপিগ না ভেবে ভাইরাসের সংক্রমণ কমাতে সাহায্য করে আফ্রিকার মানুষেরে জীবন বাঁচানোর উদ্যোগ নেওয়া উচিৎ। আফ্রিকার নেতাদেরও উচিৎ মহাদেশের মানুষকে এই সব ভয়ংকর ষড়যন্ত্র থেকে রক্ষা করা।’

ক্যামেরুন ও বার্সেলোনার সাবেক ফুটবলার ইতো নিজের ইনস্টাগ্রামে সরাসরি গালিই দিয়েছেন দুই চিকিৎসককে, ‘শুয়োরের বা...। তোমরা নর্দমার কীট ছাড়া আর কিছু নও। আফ্রিকা তোমাদের রঙ্গশালা নয়।’

চেলসির আরেক সাবেক ফুটবলার সেনেগালিজ স্ট্রাইকার ডেম্বা বাও সমালোচনা করেছেন চিকিৎসকদের। টুইটারে বা লিখেছেন, ‘পশ্চিমা দুনিয়ায় স্বাগতম। যেখানে সাদা মানুষেরা নিজেদের অন্য সবার চেয়ে অনেক উঁচুমাপের মানুষ মনে করে। আর কারণেই বর্ণবাদ ও আরও অনেক মুর্খতার জন্ম দেয়। সময় হয়েছে এ সবের জবাব দেওয়ার।’