'যুদ্ধে' শামিল হলেন ম্যারাডোনাও

ডিয়েগো ম্যারাডোনা। ছবি: এএফপি
ডিয়েগো ম্যারাডোনা। ছবি: এএফপি
>

করোনার কারণে বন্ধ আছে খেলা। উপার্জনের পথ এক রকম বন্ধই হয়ে গেছে ক্লাবগুলোর। এই অবস্থায় নিজের ক্লাবের পাশে এসে দাঁড়ালেন আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি ডিয়েগো ম্যারাডোনা

প্রাণ আগে, না খেলা?

একবাক্যে সবাই প্রাণের কথাই বলবেন। জীবন বাঁচলে তবেই না খেলাধুলা, তাই না? করোনাভাইরাস এভাবেই পর্যুদস্ত করে রেখেছে সবাইকে। প্রাণ বাঁচাতে মাঠে গিয়ে খেলা তো দূর, সবাই নিজের ঘরে বসে আছেন। বাইরে বেরোলে যদি ভাইরাস সংক্রমিত হয়?

ফলে নিস্তরঙ্গ এখন সবার পেশাদার জীবন। খেলোয়াড় ও খেলা সংশ্লিষ্ট লোকজন যেন একটু বেশিই বেকার। ফলে মাথায় হাত ক্লাবগুলোর। ম্যাচ আয়োজন করা যাচ্ছে না। ফলে টিভিস্বত্বের টাকা থেকে শুরু করে টিকিট বিক্রির উপার্জন কিচ্ছু হচ্ছে না। আয় কমে গেছে ভয়াবহ আকারে। ব্যতিক্রম নয় আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি ডিয়েগো ম্যারাডোনার ক্লাব হিমনাসিয়াও। ক্লাবের দুরবস্থা দেখে নিজ থেকেই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন ১৯৮৬ বিশ্বকাপজয়ী এই অধিনায়ক ও হিমনাসিয়ার বর্তমান কোচ। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে ম্যারাডোনা নিজেই ক্লাব-কর্তাদের কাছে কম বেতন নেওয়ার প্রস্তাব করেছেন।

ম্যারাডোনা ক্লাব সভাপতি গ্যাব্রিয়েল পেলেগ্রিনোকে খুদে বার্তায় জানিয়েছেন নিজের এই সিদ্ধান্তের কথা। ব্যাপারটা প্রকাশ করেছেন পেলেগ্রিনো নিজেই, ‘ম্যারাডোনা ও আমি খুদেবার্তা বিনিময় করেছি। সেখানেই আমাদের মধ্যে এ নিয়ে কথাবার্তা হয়। তিনি বলেছেন, ক্লাবের এই অবস্থায় যদি বেতন কেটেও রাখা হয়, তাতে আপত্তি নেই তাঁর।’

গত সেপ্টেম্বরে লা প্লাতা শহরের ক্লাবটির দায়িত্ব নেন ৫৯ বছর বয়সী মারাদোনা। অবনমনের ঝুঁকিতে থাকা ক্লাবটির সঙ্গে তার চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে আগামী ২২ আগস্ট। তবে চুক্তির পরেও ম্যারাডোনা ক্লাবের সঙ্গে থাকবেন বলে আশা করছেন পেলেগ্রিনো।

গত ১৭ মার্চ থেকে ফুটবল বন্ধ রয়েছে আর্জেন্টিনায়। থেমে আছে ক্লাবগুলোর রোজগার। লিগের ক্লাবগুলো এই ধাক্কা সামাল দিতে ফুটবলার ও কর্মচারীদের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে বেতন কেটে রাখার ব্যাপারে। ম্যারাডোনার ক্লাবে খেলেন বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের হয়ে দুবার লিগজয়ী প্যারাগুইয়ান তারকা লুকাস ব্যারিওস ও অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের ম্যানেজার ডিয়েগো সিমিওনের ছেলে জিয়ানলুকা সিমিওনে।