১৫ কোটি রুপির কামিন্স চান আইপিএল হোক

ছোট করেও হোক আইপিএল, চান প্যাট কামিন্স।
ছোট করেও হোক আইপিএল, চান প্যাট কামিন্স।

করোনাভাইরাসে থমকে যাওয়া বিশ্বে কবে সবকিছু স্বাভাবিক হবে কে জানে! মৃত্যুর আতঙ্কে যখন সবার দিন কাটছে, তখন খেলাধুলার কথা চিন্তা করাই তো অন্যায়। এ মুহূর্তে সারা দুনিয়ার প্রায় সব খেলাই স্থগিত। ক্রিকেটের সব সিরিজ বাতিল হয়েছে। স্থগিত হয়ে গেছে অর্থকরী আইপিএল। আগামী অক্টোবরে অস্ট্রেলিয়াতে অনুষ্ঠেয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপও পড়েছে অনিশ্চয়তার মুখে।

এমন একটা পরিস্থিতিতে বাড়িতে বসে অলস কাটছে সব খেলোয়াড়দের। তবে এর মধ্যেও হতাশার মাত্রাটা বোধহয় একটু বেশি প্যাট কামিন্সের। এবারের আইপিএলের নিলামে সবচেয়ে দামি বিদেশি ক্রিকেটার তিনি। শাহরুখ খানের কলকাতা নাইট রাইডার্সে খেলার সুযোগ পাওয়া কামিন্স প্রহর গুণছেন, কবে করোনাভাইরাসের মহামারি থেমে যাবে, কবে শুরু হবে আইপিএল। কলকাতার পক্ষে নাম লেখানো কামিন্সের চুক্তির অঙ্কটা যে বেশ বড়—১৫ কোটি ৫০ লাখ রুপি। এ হতাশার মধ্যেও কামিন্স আশাবাদী দেরি করে হলেও হবে এবারের আইপিএল, ‘ ওরা এখনও নিশ্চিতভাবে টুর্নামেন্ট বাতিল করেনি। এটা এখনও স্থগিত আছে। এজন্য আমরা কিছু দিন পরপরই দলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি।’

২৯ মার্চ থেকে আইপিএল শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে সেটি আপাতত ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত স্থগিত। কিন্তু করোনা-পরিস্থিতির দিন দিন অবনতি ১৫ এপ্রিল তারিখটাকেও অনিশ্চয়তায় ফেলেছে। আইপিএলে এবার আর না-ও হতে পারে—এমন গুঞ্জনও উঠেছে। কেউ কেউ তো বলছে বেবল ভারতীয় ক্রিকেটার দিয়েই আইপিএল করতে। তবে এবারের আইপিএলের সবচেয়ে দামি বিদেশ ক্রিকেটার কামিন্স আশাবাদী ছোট করে হলেও আইপিল খেলার, ‘ অবশ্যই সবাই চাইছে যেন টুর্নামেন্টটা হোক। কিন্তু সবার আগে দেখতে হবে এই ভাইরাসের ছড়িয়ে পড়ার আর কোনো ঝুঁকি যেন না থাকে। কিছুদিন আগেও আমি ফ্রাঞ্চাইজি কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। ওরা বলেছে আইপিএল আয়োজনের ব্যাপারে তারা আত্মবিশ্বাসী এবং আশা করি এটা একটা সময় মাঠে গড়াবেই।’

ঘরের মাঠে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপটাও এবারই খেলতে চান কামিন্স। তিনি মনে করেন সে আশা তাঁর পূরণ হবে, ‘গত দু তিন বছর ধরেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের কথা আলোচনা হচ্ছে। ২০১৫ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপ হয়তো আমার ক্যারিয়ার বদলে দিতে পারতো। কিন্তু সেবার আমি খেলতে পারিনি। এবার চাই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপটা হোক। এ বছর এটাই হবে বিশ্ব ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় আসর। আমি বিশ্বকাপে খেলার জন্য মুখিয়ে আছি।’

তবে সব কিছুর আগে জীবন। এই ভাইরাস যেন আর না ছড়ায় এটাই চাওয়া কামিন্সের।