করোনার মধ্যেই মাঞ্জরেকার বললেন, আইপিএল হওয়া উচিত

আইপিএল চান সঞ্জয় মাঞ্জরেকার । ছবি: টুইটার
আইপিএল চান সঞ্জয় মাঞ্জরেকার । ছবি: টুইটার
>ছোট করে হলেও এবারের আইপিএল আয়োজন করার পরামর্শ দিচ্ছেন সাবেক ইংল্যান্ড ব্যাটসম্যান কেভিন পিটারসেন ও সাবেক ভারতীয় ব্যাটসম্যান সঞ্জয় মাঞ্জরেকার।

দক্ষিণ এশিয়ায় ধীরে ধীরে বাড়ছে করোনার কালো ছায়া। ভারতেও এ পর্যন্ত সাড়ে তিন হাজারের বেশি মানুষ আক্রান্ত, মারা গেছে ১০০ জন। কিন্তু এ অবস্থায়ও আইপিএল নিয়ে ভাবনা থামছে না!

ধারণা করা হচ্ছে, দু-তিন মাসেও উপমহাদেশে কোনো খেলা মাঠে গড়াবে না। কিন্তু এরপর হলেও ছোট করেই এবারের আইপিএল আয়োজন করার পরামর্শ দিচ্ছেন সাবেক ইংল্যান্ড ব্যাটসম্যান কেভিন পিটারসেন ও সাবেক ভারতীয় ব্যাটসম্যান সঞ্জয় মাঞ্জরেকার। সাবেক ইংলিশ অধিনায়ক মাইকেল ভন তো চান, আইপিএলকে সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে হোক, যাতে সেটি এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ‘প্রস্তুতি’ হতে পারে।
ক্রিকেটারদের জন্য ভারতের ঘরোয়া ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক এই টি-টোয়েন্টি লিগ যেমন লাভজনক, দেশটির অর্থনীতিতেও এর অবদান একেবারে হেলাফেলা করার মতো নয়। এবারের আইপিএলই ভারতের অর্থনীতিতে ১ হাজার ১০০ কোটি ডলার যোগ করবে বলে ধারণা করা হচ্ছিল। সে কারণেই হয়তো আইপিএল নিয়ে এত মাতামাতি।
ভারতীয় টিভি চ্যানেল স্টার স্পোর্টসে পিটারসেন বলেছেন, ‘জুলাই-আগস্টের আগে হয়তো শুরু করা যাবে না। তবে আইপিএলটা হওয়া উচিত। বিশ্বের প্রত্যেক ক্রিকেটারই আইপিএলে খেলতে উন্মুখ হয়ে আছে।’ প্রয়োজনে কাটছাঁট করে রুদ্ধদ্বার আইপিএল আয়োজনের পরামর্শ তাঁর, ‘তিনটি ভেন্যুতে আয়োজন করা যায়, যেগুলোতে দর্শক থাকবে না। তিন-চার সপ্তাহের মধ্যে টুর্নামেন্ট শেষ করা যায়।’
মাঞ্জরেকার টেনে এনেছেন অর্থনীতির প্রসঙ্গ, ‘কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে সবুজ সংকেত পাওয়ামাত্রই আইপিএল আয়োজন করা উচিত। তাতে অর্থনীতির চাকাও ঘুরবে। আর আইপিএল মানে তো শুধু মুম্বাই ইন্ডিয়ানস, ধোনি বা বিরাট কোহলি নয়, এর সঙ্গে আরও অনেকের জীবিকা জড়িত।’
সাবেক ইংলিশ অধিনায়ক ভন দুই দিন আগে টুইটে লিখেছেন, ‘আইপিএল যেহেতু শুধু ভারত নয়, বিশ্বজুড়ে খেলাটার জন্য আর্থিকভাবে অনেক গুরুত্বপূর্ণ টুর্নামেন্ট, আমি বলব, সেটা সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে সব খেলোয়াড়কে নিয়ে পাঁচ সপ্তাহের টুর্নামেন্ট হোক, যাতে টি-২০ বিশ্বকাপের গা-গরমও হয়ে যায়। তত দিনে যদি ভ্রমণের নিষেধাজ্ঞা উঠে যায় আরকি!’