'ভারত ঘরে থাকো, এটা পটকা ফোটানোর সময় না'

করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জাতিগত সংহতি প্রকাশের মাধ্যম হিসেবে গত রোববার একটা কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সে কর্মসূচি উদ্‌যাপন করতে গিয়ে কিছুটা বাড়াবাড়ি করে ফেলে দেশটার জনগণ। ব্যাপারটা মোটেও ভালো লাগেনি ভারতের দুই সাবেক তারকা ইরফান পাঠান ও গৌতম গম্ভীরের
করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জাতিগত সংহতি প্রকাশের মাধ্যম হিসেবে গত রোববার একটা কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সে কর্মসূচি উদ্‌যাপন করতে গিয়ে কিছুটা বাড়াবাড়ি করে ফেলে দেশটার জনগণ। ব্যাপারটা মোটেও ভালো লাগেনি ভারতের দুই সাবেক তারকা ইরফান পাঠান ও গৌতম গম্ভীরের

করোনাভাইরাস মহামারির বিপক্ষে লড়াইয়ে সংহতি প্রকাশের জন্য গত রোববার রাত ৯টায় সবাইকে মোমবাতি কিংবা টচের্র আলো জ্বালানোর আহ্বান জানিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। গোলমালের শুরু এখান থেকেই।

কিছু অতি উৎসাহী মানুষ আবার এক কাঠি সরেস। ঘর থেকে বের হয়ে বাজি-পটকা ফুটিয়ে মোদির আহ্বানে সাড়া দিয়েছিলেন তাঁরা। ব্যাপারটা ভালো লাগেনি ভারতের সাবেক পেস তারকা ইরফান পাঠানের। মোদির আহ্বানের মর্ম না বুঝে কিছু মানুষ তা হাস্যরসের মাধ্যম হিসেবে নেওয়ায় সমালোচনা করেছেন তিনি। টুইট করে নিজের বিরক্তির কথা জানিয়েছিলেন এই বাঁ হাতি পেসার,‌ ‘লোকে বাজি-পটকা ফোটানোর আগ পর্যন্ত ভালোই ছিল।’

আর যায় কোথায়! পাঠানের বিপক্ষে লেগে পড়ে কিছু টুইটার ব্যবহারকারী। অকথ্য ভাষায় গালাগালি করার পাশাপাশি ইরফানের ধর্মীয় অনুভূতি নিয়েও ঠাট্টা করেন অনেকে, জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম। পাঠান এর মোক্ষম জবাব দিয়েছেন। কাল তিনি টুইট করেন,‌ ‘আগুন নেভানোর ট্রাক দরকার, কেউ কী সাহায্য করতে পারেন?’ টুইটের সঙ্গে একটা ছবি জুড়ে দেন তিনি। ছবিতে দেখা যায়, বেশ কিছু মানুষ তাঁকে আক্রমণ করে মন্তব্য করেছেন।

তবে এই ব্যাপারে সাবেক সতীর্থ ও বর্তমানে বিজেপির নেতা, লোকসভার সদস্য গৌতম গম্ভীরের সমর্থন পেয়েছেন ইরফান। বাজি-পটকা ফোটানোর সমালোচনা করেছেন ভারতের এই সাবেক ওপেনারও। তিনি টুইট করেছেন, ‘ভারত, ঘরে থাকো। আমরা এখন যুদ্ধের মাঝে। এটা পটকা ফোটানোর সময় না।’