দুয়ারে দুয়ারে খাবার পৌঁছে দেবেন তিনি

ইনস্টাগ্রামে নিক কিরিওসের বার্তা। ছবি: ইনস্টাগ্রাম
ইনস্টাগ্রামে নিক কিরিওসের বার্তা। ছবি: ইনস্টাগ্রাম
>করোনাভাইরাসের প্রভাবে সবচেয়ে বেশি অভাবে পড়েছেন স্বল্প আয়ের মানুষ। কারও চাকরি চলে গেছে, কারও বেতন কাটা যাচ্ছে, কেউ বা পড়েছেন প্রয়োজনীয় খাবারের অভাবে। এই ভুগতে থাকা মানুষের সাহায্যেই এগিয়ে আসছেন অস্ট্রেলিয়ার বিতর্কিত টেনিস তারকা নিক কিরিওস।

যত শিরোনাম তাঁকে হয়, তার বেশিরভাগেই থাকে বিতর্ক। তাঁর মনোজগতেই সম্ভবত এমন কিছুটা আছে, যেটা বিতর্কের দিকে তাঁকে টেনে নেয়। কখনো প্রতিপক্ষকে উল্টোপাল্টা বলছেন, তো কখনো তাঁর ভাষাগত আক্রমণ থেকে রেহাই পাচ্ছেন না আম্পায়ারও। গত সেপ্টেম্বরে তো টেনিস থেকে স্থগিত নিষেধাজ্ঞাও পেয়েছেন। এমনই অবস্থা যে, ক্যারিয়ারে কখনো কোনো গ্র্যান্ড স্লামের সেমিফাইনালে খেলতে না পারলেও নিক কিরিওস বিশ্বজুড়ে আলোচিত - অথবা সমালোচিত - এতসব বিতর্কের কারণে।

টেনিস কোর্টের সেই সমালোচিত কিরিওসই জীবনের কোর্টে দেখা দিচ্ছেন অন্য চেহারায়! যেখানে জীবন ডাকছে অন্য জীবের সাহায্যে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে। করোনাভাইরাসের ত্রাসে স্তব্ধ হয়ে গেছে বিশ্ব। থমকে গেছে জীবন, থেমে যাচ্ছে জীবিকাও। কিরিওস তাই তো মানবিকতার ডাকে সাড়া দিয়ে এগিয়ে এসেছেন দুস্থদের সহায়তা করতে। ক্ষুধার্তদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে নিজেই দিয়ে আসবেন খাবার—২৪ বছর বয়সী অস্ট্রেলিয়ান টেনিস খেলোয়াড় এমন ঘোষণাই দিয়েছেন ইনস্টাগ্রামে।

নিক কিরিওস। ছবি: এএফপি
নিক কিরিওস। ছবি: এএফপি

মানবিকতার ডাকে সাড়া দেওয়ার ঘটনা অবশ্য এবারই প্রথম নয় কিরিওসের জন্য। গত জানুয়ারিতে অস্ট্রেলিয়ার ভয়ঙ্কর দাবানলে যখন মানুষ, পশুপাখি পুড়ে মরেছে তখন ক্ষতিগ্রস্থদের পাশে দাড়িয়েছিলেন ক্যানবেরার এই খেলোয়াড়। এটিপি কাপে প্রতিটি এইসের জন্য ২০০ ডলার দিয়েছেন, যেটা অস্ট্রেলিয়ান ওপেন পর্যন্ত চালু রেখেছিলেন। এবার করোনাভাইরাসে আয়হীন হয়ে পড়া, খাবারের অভাবে ভোগা মানুষের কথা ভেবে হাতে নিয়েছেন নতুন উদ্যোগ।

অসহায়দের উদ্দেশ্যে ইনস্টাগ্রামে কিরিওস লিখেছেন, ‘যদি কেউ কাজ করতে না পারেন, আয়ের সুযোগ না পান, যদি কারও খাবার ফুরিয়ে যায় বা সব মিলিয়ে কঠিন সময়ে পড়ে যান... দয়া করে কেউ খালি পেটে ঘুমাতে যাবেন না। আমাকে ব্যক্তিগত খুদেবার্তা পাঠাতে কেউ বিব্রতবোধ করবেন না বা ভয় পাবেন না। আমার যা আছে তা আপনাদের সঙ্গে ভাগাভাগি করতে পারলে আমি বেশি খুশি হবো। সেটা এক বাক্স নুডলস, এক টুকরো রুটি বা দুধ যা-ই হোক, কোনো প্রশ্ন ছাড়াই সেটা আমি আপনার দরজায় পৌঁছে দেব।’