শিকল ভাঙতে মরিয়া জামাল ভূঁইয়ারা

শিকল ভাঙার লড়াইয়ে জামাল ভূঁইয়ারা। ছবি: প্রথম আলো
শিকল ভাঙার লড়াইয়ে জামাল ভূঁইয়ারা। ছবি: প্রথম আলো

করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়ে যাচ্ছে গোটা বিশ্ব। নিজেদের নিরাপদে রেখে, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে লড়াই আছেই; দুস্থদের যে যেভাবে পারছেন সহায়তা করছেন। চিকিৎসকেরা সর্বোচ্চ শ্রম দিচ্ছেন রোগীদের সুস্থ করে তুলতে, গবেষণা চলছে এই প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিষেধক আবিষ্কারের লক্ষ্যে। এই সময় খেলোয়াড়েরাও বসে নেই। খেলাবিহীন সময়টা কাজে লাগাচ্ছেন নানাভাবে, আর্ত মানবতার সহায়তাতে এগিয়ে আসছেন। করছেন মানুষকে সচেতন। ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা ফিফা শুরু করেছে একটি বিশেষ প্রচারণা। সম্প্রতি এশীয় ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা এএফসিও এশিয়ার ফুটবলারদের নিয়ে শুরু করেছে ‘ব্রেক দি চেইন’ ক্যাম্পেইন। এই ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে নিয়মিত সাবান দিয়ে হাত ধোয়া, হাঁচি কাশির সময় কনুই দিয়ে মুখ ঢেকে রাখা, ঘরে থাকা সহ সুরক্ষার কৌশলগুলো জানাচ্ছেন ফুটবলাররা। ভাইরাস ছড়িয়ে পড়া কীভাবে আটকানো যায় সেটাই বলছেন ভিডিও বার্তায়।

মিডফিল্ডার সেখান থেকেই ভিডিও বার্তায় বলেছেন, ‘আমি জামাল ভূঁইয়া, বাংলাদেশ ফুটবল দলের অধিনায়ক। আপনাদের সবার জন্য একটা বার্তা নিয়ে এসেছি। দয়া করে আমাদের শিকল ভাঙার অভিযানে আপনারা যোগ দিন। কোভিড-১৯ বিশ্বের সব জায়গায় ছড়িয়ে গেছে। আমরা সবাই এক সঙ্গে এটা প্রতিরোধ করতে চাই। আর এটা করা খুব সহজ। আপনার হাত ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখুন। যদি খুব প্রয়োজন না থাকে তাহলে বাড়ির বাইরে বের হবেন না। পরিবার, বন্ধু ও স্বজনদের নিয়ে নিরাপদে থাকুন।’

গোলরক্ষক আশরাফুল রানা আছেন শিকল ভাঙার লড়াইয়ে, ‘দয়া করে সবাই বাড়িতে থাকুন। কোভিড-১৯ রোধে অবশ্যই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও আমাদের সরকারের দেওয়া নির্দেশনা মেনে চলুন। আপনার হাত নিয়মিত সাবান দিয়ে ধোবেন। এবং বাড়িতে থাকুন। শিকল ভাঙতে আসুন আমরা নিজেদের কাজটা করি।’

একইভাবে ভিডিও বার্তায় কথা বলেছেন জাতীয় দলের ম্যানেজার সত্যজিৎ দাস রুপু এবং জাতীয় নারী দলের ডিফেন্ডার আঁখি খাতুন। জাতীয় দলের সাবেক ফুটবলার সত্যজিৎ দাস এমন একটি ক্যাম্পেইনের অংশ হতে পেরে খুশি। করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সত্যজিৎ দাসের পরামর্শ, ‘সবাইকে সচেতন করাটাই এই ক্যাম্পেইনের উদ্দেশ্য। আপনি নিজে নিরাপদে থাকবেন, অন্যকেও নিরাপদে রাখবেন এটাই এই ভিডিওর মূল বার্তা। যেহেতু এই ভাইরাস চোখে দেখার সুযোগ নেই তাই যে কেউ আক্রান্ত হতে পারে। বাইরে থেকে এসে তাই অবশ্যই হাত ধুয়ে ঘরে ঢুকতে হবে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। তাহলে পরিবারের অন্যরাও নিরাপদ থাকবে। সুস্থ থাকবে।’