আবেগ যাঁকে ছোঁয় না, সেই টেন্ডুলকারই নেচেছিলেন সেদিন

শচীন টেন্ডুলকার
শচীন টেন্ডুলকার
>আনন্দের আতিশয্য ক্রিকেট মাঠে নেচেছিলেন শচীন টেন্ডুলকারও

আনন্দে আত্মহারা হন না কখনোই, আবার অধিক শোকে হন না পাথরও। ক্রীড়াঙ্গনের এমন বর্তমান ও সাবেক তারকাদের তালিকা করলে শচীন টেন্ডুলকারের নাম ওপরের দিকেই থাকবে। সেঞ্চুরি করার পর ডেভিড ওয়ার্নার যেভাবে শূন্যে লাফিয়ে উঠেন, ওয়ানডের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে ২০০ রানের ইনিংস খেলার পরও সেভাবে লাফাতে দেখা যায়নি টেন্ডুলকারকে। আর দশটা সেঞ্চুরি করার পর হেলমেট খুলে যেভাবে আকাশের দিকে তাকান, সেদিনও তাই করেছিলেন ভারতীয় ব্যাটিং কিংবদন্তি। কিন্তু এক সময় টেন্ডুলকারেরই জাতীয় দলের সতীর্থ হরভজন সিং দাবি করেছেন, মাস্টার ব্যাটসম্যানকে তিনি নাচতেও দেখেছেন!

কখন নেচেছিলেন শচীন টেন্ডুলকার? ২০১১ ক্রিকেট বিশ্বকাপ জয়ের পর। স্টার স্পোর্টসের ‘ক্রিকেট কানেক্টেড’ অনুষ্ঠানে ভারতের হয়ে ১০৩ টি টেস্ট, ২৩৬ টি ওয়ানডে ও ২৮ টি টি-টোয়েন্টি খেলা হরভজন বলেছেন, ‘সেদিন প্রথমবারের মতো আমি শচীন টেন্ডুলকারকে নাচতে দেখেছিলাম। আশপাশের সবাই কে কী ভাববে না ভাববে তার তোয়াক্কা না করে প্রথমবারের মতো সবার সঙ্গে তাঁকে আনন্দ করতে দেখেছিলাম। যা চিরদিন স্মরণীয় হয়ে থাকবে আমার কাছে।'

২০১১ বিশ্বকাপের আগে টেন্ডুলকারের বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারের একমাত্র ঘাটতি হিসেবে দেখা হতো বিশ্বকাপ না জেতা। সেবার বাড়ির পাশের মাঠ ওয়াংখেড়েতেই টেন্ডুলকারের আক্ষেপটা ঘুচেছে। টেন্ডুলকার বলেছেনও তাঁর ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বড় এবং আবেগঘন মুহূর্ত ছিল ২০১১ সালের বিশ্বকাপ জয়। সেই বড় অর্জনের পর বাধভাঙা উল্লাস তো তিনি করতেই পারেন!