যাঁর চোখে তাকিয়ে কথা বলার সাহস হয়নি মেসির

মেসি-ইতো-অঁরি, ছিলেন দুর্দান্ত এক ত্রয়ী। ছবি : এএফপি
মেসি-ইতো-অঁরি, ছিলেন দুর্দান্ত এক ত্রয়ী। ছবি : এএফপি
>

বার্সেলোনার আক্রমণভাগে লিওনেল মেসি যাদের উপযুক্ত সঙ্গী হিসেবে পেয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে ফরাসি স্ট্রাইকার থিয়েরি অঁরি ছিলেন অন্যতম। সেই অঁরিকে প্রশংসা বাণে ভাসালেন মেসি

তর্কযোগ্যভাবে সর্বকালের সেরা খেলোয়াড় মানা হয় তাঁকে। বিশ্বজোড়া অগণিত ভক্ত সমর্থক একবারের জন্য হলেও তাঁর দর্শন পাওয়ার জন্য বিভোর হয়ে থাকেন। মাঠে খেলা দেখে বিমোহিত হয়ে যান। হন অভিভূত। কিন্তু লিওনেল মেসি নিজে কাকে দেখে বিস্ময়াভিভূত হয়েছিলেন?

মেসি নিজেও তো এককালে শিক্ষানবিশই ছিলেন। এখন যেমন তাঁর আকাশছোঁয়া খ্যাতি, এককালে এমনটা ছিল না। তখন এমনও তারকা ছিলেন, যাঁকে দেখে মুগ্ধ হতেন মেসি। যাঁর খেলার মধ্য থেকে খুঁজতেন শিক্ষার উপকরণ। এমনই একজন ছিলেন বিখ্যাত ফরাসি স্ট্রাইকার ও বার্সেলোনায় মেসির সাবেক সতীর্থ থিয়েরি অঁরি। প্রথম দেখার দিনে নাকি অঁরির চোখে তাকিয়ে কথা বলার সাহসও হয়নি মেসির!

অঁরির প্রতি মুগ্ধতার কথা মেসি নিজেই জানিয়েছেন ফরাসি সংবাদমাধ্যম লে'কিপে। অঁরির সঙ্গে প্রথম দেখা হওয়ার দিনটার কথা এখনো মনে আছে মেসির, ‘তিনি প্রথম যেদিন ড্রেসিংরুমে ঢুকলেন, তাঁর চোখে তাকিয়ে কথা বলার সাহস হয়নি আমার।’ কীভাবে এত তাড়াতাড়ি অঁরির সতীর্থ হয়ে গেলেন, মেসি ঠিকঠাক বুঝেই উঠতে পারেননি, ‘আমি জানতাম তিনি ইংল্যান্ডে আর্সেনালের হয়ে কী কী করে এসেছেন। হঠাৎ করে তিনি একদিন আমার সতীর্থ হয়ে গেলেন!’

পরে অঁরির প্রতি নিজের নিখাদ মুগ্ধতার কথাই জানিয়েছেন মেসি, ‘তাঁর জন্য আমি যা অনুভব করি সেটিকে স্রেফ মুগ্ধতা বলা চলে। আমি অঁরিকে ভালোবাসতাম। তিনি যেভাবে গোল করতেন, গোল বানিয়ে দিতেন, আক্রমণ গড়ে দিতেন, সবকিছুই মুগ্ধ করত আমাকে। তিনি এমনভাবে খেলতেন যেন এসব কিছু খুবই সহজ আর স্বাভাবিক। তাঁর ক্যারিয়ার, তাঁর খেলা, তাঁর জীবন, তাঁর ড্রিবল করা - সবকিছুই অনেক সহজাত ছিল।’

আর্সেনালের হয়ে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ২২৬ গোল করার পর ২০০৭ সালে ২৪ মিলিয়ন ইউরোতে বার্সেলোনায় যোগ দিয়েছিলেন কিংবদন্তি ফরাসি স্ট্রাইকার । আর্সেনালে যে অঁরি ছিলেন নিখাদ একজন স্ট্রাইকার, বার্সেলোনায় এসে তিনি হয়ে গিয়েছিলেন উইঙ্গার। হয়তো ফুটবলটা তাঁর কাছে সহজাত ছিল বলেই!