মেসিই জানালেন, তাঁর টাকা দেওয়ার খবরটা ভুয়া

উল্টোপাল্টা খবরের ব্যাপারে মেসি সতর্ক করে দিলে। ছবি: ইনস্টাগ্রাম।
উল্টোপাল্টা খবরের ব্যাপারে মেসি সতর্ক করে দিলে। ছবি: ইনস্টাগ্রাম।

প্রতিবাদের কত মাধ্যমই না থাকে! কারও প্রতিবাদের মাধ্যম কলম, কেউ বা মাইক নিয়ে গলা ফাটিয়ে বেড়ান, কেউ আবার ‘হাত থাকতে মুখে কী’ নীতিতে বিশ্বাসী। লিওনেল মেসির প্রতিবাদের মাধ্যম সম্ভবত তাঁর ইনস্টাগ্রাম।

কিছুদিন আগে আর্নেস্তো ভালভার্দের বার্সেলোনা থেকে বরখাস্ত হওয়ার দায় কিছুটা খেলোয়াড়দের ওপর চাপিয়ে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন ক্লাবের ক্রীড়া পরিচালক ও সাবেক ডিফেন্ডার এরিক আবিদাল। মেসি সেটার প্রতিবাদ জানালেন ইনস্টাগ্রামে। করোনাভাইরাসের সময়ে ক্লাবের বোর্ড পর্যায় থেকে খেলোয়াড়দের বেতন কমাতে বাড়তি চাপ দিতে সংবাদমাধ্যমে উল্টোপাল্টা খবর সরবরাহ করা হচ্ছিল। নিজেরা বেতন ৭০ শতাংশ কম নেওয়ার পাশাপাশি বাড়তি অর্থ দিয়ে সাহায্যের হাত বাড়ানোর ঘোষণা দেওয়ার পাশাপাশি মেসি সেসব উল্টোপাল্টা খবরের ব্যাপারে সতর্ক করে দিলেন ইনস্টাগ্রামে।

বার্সেলোনার আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড আবার ইনস্টাগ্রামের শরণ নিয়েছেন। এবার কিসের প্রতিবাদ? দুটি খবরের। আর্জেন্টিনার টিভি চ্যানেল টিএনটি স্পোর্টস দুটি খবর ছাপিয়েছে। এক, মেসি বার্সেলোনা ছেড়ে ইতালির ক্লাব ইন্টার মিলানে যেতে পারেন। দুই, বার্সেলোনার মেসির সাবেক সতীর্থ ও প্রিয় বন্ধু রোনালদিনহো যে কদিন আগে প্রায় ১৪ কোটি টাকা দিয়ে প্যারাগুয়ের জেল থেকে বেরোতে পেরেছেন, সেই টাকাও মেসি দিয়েছেন বলে জানিয়েছে টিভি চ্যানেলটি। মেসি কাল ইনস্টাগ্রামে এক পোস্ট করে জানিয়ে দিলেন, দুটি খবরই ভুয়া।

ইনস্টাগ্রামের ‘স্টোরি’তে টিভি চ্যানেলের দুটি খবরের স্ক্রিনশট দিয়েছেন মেসি। তাতে এক জায়গায় হ্যাশট্যাগ দিয়ে লিখেছেন ‘ফেইক নিউজ’ বা ভুয়া খবর। তারপর দুটি খবরের পাশে লিখেছেন, ‘মিথ্যা নম্বর ১’ ও ‘মিথ্যা নম্বর ২’। প্রথম খবরটি এই, আর্জেন্টাইন লিগের দল ভেলেজ সার্জফিল্ডের আর্জেন্টাইন উইঙ্গার থিয়াগো আলমাইদা ইন্টারে যাবেন লিওনেল মেসির সঙ্গে। পরের খবর, জেলে থাকা রোনালদিনহোকে টাকা দিয়েছেন মেসি।

নিচে মেসি আবার লিখে দিয়েছেন, ‘ওরা নিওয়েলস ওল্ড বয়েজ আর আমাকে ঘিরে যে খবর প্রচার করেছে, সেটিও মিথ্যা। ঈশ্বরকে ধন্যবাদ যে কেউ ওদের বিশ্বাস করে না।’ মাঝে এই মৌসুম শেষেই মেসির বার্সেলোনা ছাড়ার গুঞ্জন বেশ বাজার পেয়েছে। কোথায় যেতে পারেন মেসি, সে সম্ভাবনায় তাঁর শৈশবের ক্লাব নিওয়েলসে ফেরার কথাও এসেছে অনেকবার।

ভুয়া পাসপোর্ট দেখিয়ে প্যারাগুয়েতে ঢোকার অপরাধে ৩২ দিন জেলে থাকা রোনালদিনহো দুদিন আগে বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৪ কোটি টাকার সমপরিমাণ অর্থ দিয়ে জেল থেকে ছাড়া পেয়েছেন। মুক্তি অবশ্য পাননি। তাঁকে থাকতে হবে প্যারাগুয়ের এক হোটেলেই। তা হঠাৎ এত অর্থ রোনালদিনহো কোত্থেকে পেলেন, সেটি খুঁজতে গিয়েই মেসিকে জড়িয়ে খবর আসে।

বার্সেলোনায় তাঁর শুরুর দিনগুলোতে বন্ধু ও পথ প্রদর্শক রোনালদিনহোকে মেসি টাকা দেবেন, এমন গুঞ্জন অবশ্য রোনি জেলে যাওয়ার পরই চাউর হয়। তখন মেসির কাছের মানুষজন সেটি মিথ্যে বলে জানিয়ে দেন। রোনি জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর আবার গুঞ্জনটা চাউর হওয়ায় এবার মেসি নিজেই এগিয়ে এলেন সেটি মিথ্যা জানিয়ে দিতে। অযথাই ভুল বোঝাবুঝি কে চায়!