করোনা ছাড়ল না লিভারপুলের 'রাজা'কেও

লিভারপুল কিংবদন্তি কেনি ডালগ্লিশ। ছবি: স্কাই স্পোর্টস টুইটার পেজ
লিভারপুল কিংবদন্তি কেনি ডালগ্লিশ। ছবি: স্কাই স্পোর্টস টুইটার পেজ
>

জুভেন্টাস, আর্সেনাল, রিয়াল মাদ্রিদ, চেলসি, ফিওরেন্টিনা, আতালান্তার মতো এবার লিভারপুলেও আঘাত হানল করোনাভাইরাস। তর্কযোগ্যভাবে ক্লাবটির সবচেয়ে বড় কিংবদন্তি আক্রান্ত হয়েছেন এই প্রাণঘাতী ভাইরাসে

লিভারপুলের ইতিহাসে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি মানা হয় তাঁকে।

সত্তরের দশকে সেল্টিক থেকে ট্রান্সফার ফি’র রেকর্ড গড়ে লিভারপুলে নাম লেখানো এই স্কটিশ স্ট্রাইকার ‘অল রেড’দের হয়ে লিগ জিতেছেন ছয়বার, ইউরোপিয়ান কাপ (তৎকালীন চ্যাম্পিয়নস লিগ) তিনবার। এ ছাড়া অন্যান্য ট্রফি তো আছেই। কোচ হিসেবেও যথেষ্ট সফল ছিলেন তিনি, প্রিয় লিভারপুলকে লিগ জিতিয়েছেন আরও তিনবার। ২০০৬ সালে হওয়া এক অনলাইনে ভোটে তাঁকে লিভারপুল ইতিহাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় বানিয়েছিল সমর্থকেরা। আদর করে লিভারপুল সমর্থকেরা তাঁকে ডাকতেন ‘কিং’ বলে। কিছুদিন আগে সম্মানিত হয়েছেন নাইটহুড খেতাবেও।

সেই ‘রাজা’ স্যার কেনি ডালগ্লিশ করোনাভাইরাসের প্রকোপ থেকে নিজেকে বাঁচাতে পারলেন না। ৬৯ বছর বয়সী এই সাবেক তারকা কোভিড-১৯ পজিটিভ হয়েছেন, ভর্তি হয়েছেন হাসপাতালে।

তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কোভিড-১৯ পজিটিভ হলেও শরীরে কোনো লক্ষণ দেখা যায়নি ডালগ্লিশের। পরিবারের পক্ষ থেকে দেওয়া বিবৃতিতে আরও জানানো হয়েছে, ‘জাতীয় স্বাস্থ্য সংস্থার সকল কর্মীকে ডালগ্লিশ পরিবাররে পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানানো হচ্ছে যাঁরা দিন রাত এক করে মানুষের সেবায় নিয়োজিত আছেন।’

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার আগে থেকেই কোয়ারেন্টিনে ছিলেন কেনি ডালগ্লিশ, জানা গেছে, ‘কোভিড-১৯ পজিটিভ হওয়ার আগ থেকেই প্রয়োজনের চেয়েও বেশি সময় ধরে নিজেকে সেলফ আইসোলেশনে রেখেছেন কেনি ডালগ্লিশ। অনুরোধ করা হচ্ছে দেশের বাকি সবাই যেন সেলফ আইসোলেশনের নিয়মাবলি ও সরকারের সকল নির্দেশ মেনে চলে। ঘরে ফেরার জন্য মুখিয়ে আছেন তিনি।’ ডালগ্লিশের পরিবারের তরফ থেকে বলা হয়েছে, ‘এরপর যখন দরকার হবে, আমরা তাঁর সম্বন্ধে খবর দেব সবাইকে।’

শুধু লিভারপুলই নয়, ব্ল্যাকবার্ন রোভার্সের ম্যানেজার হয়েও একবার লিগ জিতেছেন ডালগ্লিশ। পেলের দেখা সেরা ১০০ খেলোয়াড়ের তালিকায় নাম আছে তাঁর। ১৯৮৩ সালে ব্যালন ডি’অর পুরস্কারের দৌড়ে মিশেল প্লাতিনির পেছনে রানার্সআপ হয়েছিলেন তিনি।