করোনা না এলে এমবাপ্পে যেতেন রিয়ালে

পিএসজি ফরোয়ার্ড কিলিয়ান এমবাপ্পে। ছবি: এএফপি
পিএসজি ফরোয়ার্ড কিলিয়ান এমবাপ্পে। ছবি: এএফপি
>কিলিয়ান এমবাপ্পেকে দলে টানার ইচ্ছা রিয়াল মাদ্রিদের আজকের নয়। কিন্তু বিভিন্ন কারণে ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও বারবার রিয়ালের হাত ফসকে বেরিয়ে যাচ্ছেন এমবাপ্পে!

করোনাভাইরাস না আঘাত হানলে সামনের মৌসুমেই রিয়ালের সাদা জার্সি গায়ে বল পায়ে কারিকুরি করতে দেখা যেত পিএসজির ফরাসি তারকা কিলিয়ান এমবাপ্পেকে। পিএসজির সাবেক ফরাসি মিডফিল্ডার জেরোম রথেনের ভাষ্য অন্তত এটাই।

জাতীয় দলে জিদান-অঁরিদের সতীর্থ এই জেরোম রথেন ২০০৪ সাল থেকে ২০১০ পর্যন্ত অর্ধযুগ খেলে গেছেন পিএসজিতে। ক্লাবে দীর্ঘ সময়ে সতীর্থ হিসেবে পেয়েছেন ক্লদ ম্যাকেলেলে, বিকাশ ধরাশু, পেদ্রো পলেতা, গ্রেগরি কুপ, মামাদু সাখোদের। ক্লাব ছাড়লেও পিএসজির সঙ্গে যোগাযোগ মোটেও কমেনি এই তারকার। ক্লাবের অন্দরমহলের খবরাখবর এখনো বেশ ভালোই আসে তাঁর কানে। সে সূত্র ধরেই এমবাপ্পের খবরটা কানে এসেছিল রথেনের।

রথেন নিজেই সেটা বলেছেন রেডিও মন্টিকার্লোতে, ‘আমি ক্লাবের বিভিন্ন সূত্রের মাধ্যমে জেনেছি কিলিয়ান এমবাপ্পের রিয়ালে যাওয়ার বিষয়টা প্রায় পাকাই হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু এখন করোনাভাইরাসের কারণে ফুটবল বিশ্বের যা অবস্থা, মনে হয় না জিদান আর এমবাপ্পেকে পাবে এখন।’

গত তিন বছর ধরে এমবাপ্পেকে দলে নেওয়ার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে রিয়াল মাদ্রিদ। ২০১৭ সালে তৎকালীন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ম্যানেজার হোসে মরিনহো যখন রিয়ালের ওয়েলশ উইঙ্গার গ্যারেথ বেলকে কিনতে চাইলেন, তখন বেলকে দল থেকে বের করে এমবাপ্পেকে দিয়ে সে অভাবটা পূরণ করতে চেয়েছিল রিয়াল। বেলও দল ছাড়েননি, এমবাপ্পেরও রিয়ালে আসা হয়নি। উল্টো মোনাকো ছেড়ে পিএসজিতে নাম লেখান এই তারকা, ১৮০ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে।

গত মৌসুমে এমবাপ্পেকে ছাড়তে চায়নি পিএসজি, রিয়াল দলে আনে চেলসির বেলজিয়ান উইঙ্গার এডেন হ্যাজার্ডকে। আর রথেনের কথা বিশ্বাস করলে, এবার করোনাভাইরাসের জন্য কপাল পুড়ল জিনেদিন জিদানের দলের!

করোনাভাইরাসের কারণে প্রত্যেক ক্লাবের আয়ের পরিমাণ এখন নিম্নমুখী। এই মন্দার বাজারে আকাশছোঁয়া দামের বিনিময়ে রিয়াল এমবাপ্পেকে দলে টানতে পারে কি না, সেটাও দেখার বিষয়। এই মৌসুমে না পারলেও সামনের মৌসুমে অবশ্যই চেষ্টা করবে তাঁরা। পিএসজির সঙ্গে এমবাপ্পের বর্তমান চুক্তি শেষ হবে ২০২২ সালে। আগামী বছর এমবাপ্পেকে দলে টানার চেষ্টা করলে এমবাপ্পের দাম এখনকার থেকে অনেক কম হবে, কেননা তখন তাঁর চুক্তি বাকি থাকবে মাত্র এক বছর। অবশ্য এমবাপ্পে যদি এর মধ্যে পিএসজির সঙ্গে চুক্তি নবায়ন না করেন, তবেই।

এখন রিয়ালের চাওয়া একটাই, কোনোভাবেই যেন পিএসজির সঙ্গে চুক্তি নবায়ন না করেন এমবাপ্পে!