নতুন প্রেমিকের জন্য মাকে শুভকামনা নেইমারের

নতুন সম্পর্কের কথা এভাবেই জানালেন নেইমারের মা। ছবি: ইনস্টাগ্রাম
নতুন সম্পর্কের কথা এভাবেই জানালেন নেইমারের মা। ছবি: ইনস্টাগ্রাম

'লাভ ইন দ্য টাইম অব কলেরা', খুবই বিখ্যাত একটি বই। বহুদিন পর আরেক মহামারি পৃথিবীকে স্তব্ধ করে দিয়েছে। এখনই সময় তেমন এক কালজয়ী উপন্যাসের জন্ম দেওয়ার, যার নাম হতে পারে সেই পুরোনো ছন্দে, 'লাভ ইন দ্য টাইম অব করোনা।' ব্রাজিলিয়ান ফুটবল সংশ্লিষ্টরা অন্তত চেষ্টার কমতি রাখছেন না।

এই তো সপ্তাহ খানেক আগে খবর এল সাবেক স্ত্রীর আত্মীয়ার সঙ্গে প্রেম করছেন জাতীয় দলের সাবেক স্ট্রাইকার হাল্ক। আর এ সপ্তাহে সংবাদমাধ্যমে আলোড়ন তুলছেন নেইমারের মা নাদিন গন্সালভেস। ২২ বছরের এক তরুণের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ানোর কথা প্রকাশ করেছেন ইনস্টাগ্রামে।

তিয়াগো রামোসের প্রোফাইলটা এমনিতেও কম ভারী নয়। নেইমারের চেয়ে ৬ বছরের ছোট রামোস একজন গেমার। ফ্রি ফায়ার গেমের এক দলে খেলেন রামোস। তাঁর আরেকটি পরিচয়, তিনি একজন মডেলও। নেইমারের গত জন্মদিনের অনুষ্ঠানেও দেখা গেছে রামোসকে।

২০১৬ সালে নেইমারের সিনিয়রের সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদ করেছেন নাদিন। এর পর থেকে একাই ছিলেন। আজ হঠাৎ ইনস্টাগ্রামে রামোসের সঙ্গে একটি অন্তরঙ্গ ছবি দিয়ে লিখেছেন, 'ব্যাখ্যাতীত বিষয়কে কখনো বর্ণনা করা যায় না, যদি সেভাবে বাঁচ…' ১২ লাখ অনুসারীর কাছে এভাবেই নিজের নতুন জীবনের কথা জানিয়েছেন নেইমারের মা।

তিয়াগোও একই ছবি ইনস্টাগ্রামে দিয়েছেন, তবে তাঁর ক্যাপশনে শুধু লেখা ছিল, 'ব্যাখ্যাতীত।' মায়ের জীবনের এ অধ্যায় স্বাভাবিকভাবেই নিয়েছেন নেইমার। ইনস্টাগ্রামে নাদিনের ছবির নিচে লিখেছেন, 'সুখী হও মা। ভালোবাসি তোমায়।' নেইমারের বাবাও সে ছবিতে করতালি দেওয়ার ইমোটিকন দিয়েছেন।

রামোস নেইমারের অনেক বড় ভক্ত। ২০১৭ সালে নেইমারকে একটি বার্তা পাঠিয়েছিলেন। লিখেছিলেন, 'নেইমার আপনি অসাধারণ। আমি জানি না আপনার মতো একজনের ভক্ত হতে পারার আবেগ কীভাবে বর্ণনা করব। আপনাকে খেলতে দেখে অনুপ্রাণিত হই। আশা করি একদিন এই বার্তা পড়ে শোনাতে পারব। তোমার ভাই হবে এবং এক সঙ্গে খেলব। জানি একদিন দেখা হবেই, কারণ আমি স্বপ্ন দেখতে পছন্দ করি এবং নিজের লক্ষ্য অর্জনে হাল ছাড়ি না। সাফল্যে ভরে উঠুক আপনার জীবন এবং খুশি হন।'

নেইমারের সঙ্গে দেখা করার ইচ্ছা এ বছরের জানুয়ারিতেই পূর্ণ হয়েছে তাঁর। তবে নেইমারের পরিবারের এতটা কাছাকাছি হবেন, সেটা বোধ হয় রামোস ২০১৭ সালে ভাবতেও পারেননি।