যেভাবে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখবেন

ফিনিশিং লাইন ছোঁয়ার আগে বাকি প্রতিদ্বন্দ্বীদের সঙ্গে বিস্তর ব্যবধানে এগিয়ে বোল্ট। এই ছবি দিয়েই সামাজিক দূরত্ব কীভাবে বজায় রাখা যায় তা বুঝিয়েছেন তিনি। ছবি: স্ক্রিনশট
ফিনিশিং লাইন ছোঁয়ার আগে বাকি প্রতিদ্বন্দ্বীদের সঙ্গে বিস্তর ব্যবধানে এগিয়ে বোল্ট। এই ছবি দিয়েই সামাজিক দূরত্ব কীভাবে বজায় রাখা যায় তা বুঝিয়েছেন তিনি। ছবি: স্ক্রিনশট

দৌড়ের ট্র্যাকে বাকিদের সঙ্গে সব সময়ই দূরত্ব বজায় রেখে চলেছেন তিনি। কখনো এমনও হয়েছে যে দূরত্বটা বিশাল, সামর্থ্যের লড়াইয়ে তাঁর কাছে বড় ব্যবধানে হেরেছেন টাইসন গে, জাস্টিন গ্যাটলিনের মতো স্প্রিন্টাররা। স্প্রিন্টের ট্র্যাকে এই তিনি-টা কে, তা নিশ্চয়ই ধরতে পেরেছেন!

উসাইন বোল্ট। ১০০ মিটার ও ২০০ মিটার স্প্রিন্টের মোটামুটি শেষ কথা। অলিম্পিকে আটবার স্বর্ণপদকজয়ী এ স্প্রিন্টার ১০০,২০০ ও ৪০০ মিটার দৌড়ে বিশ্ব রেকর্ডধারী। বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে সবাইকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলার পরামর্শটা নিজের ঢংয়েই দিয়েছেন বোল্ট। দৌড়ের ফিনিশিং লাইন ছোঁয়ার সময় বাকি প্রতিদ্বন্দ্বীদের সঙ্গে নিজের প্রমাণ ব্যবধানের দূরত্ব দিয়েই বর্তমান পরিস্থিতিতে করণীয় বুঝিয়েছেন সাবেক এ স্প্রিন্টার।

নিজের অফিশিয়াল ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে আজ একটি ছবি পোস্ট করেছেন বোল্ট। ২০০৮ বেইজিং অলিম্পিকে ১০০ মিটারে চূড়ান্ত দৌড়ের ছবি। ৯.৬৯ সেকেন্ডে সেই দৌড় শেষ করে নতুন বিশ্বরেকর্ড গড়েছিলেন বোল্ট। পরে ভেঙেছেন নিজেই।

সে যাই হোক, ওই দৌড়ে ফিনিশিং লাইন ছোঁয়ার আগে বাকি প্রতিদ্বন্দ্বীদের সঙ্গে বিস্তর ব্যবধানে এগিয়ে ছিলেন এই জ্যামাইকান। ওই দূরত্বটুকু দিয়েই সামাজিক দূরত্ব কীভাবে বজায় রাখা যায় তা বুঝিয়েছেন ৩৩ বছর বয়সী কিংবদন্তি। ছবিটি পোস্ট করে ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, 'সামাজিক দূরত্ব।'

অর্থাৎ, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখায় নিজেকে চেষ্টা করতে হবে সবচেয়ে বেশি। বাকিরা যেন কাছাকাছি কিংবা সংস্পর্শে আসতে না পারে তা বোঝাতে বোল্টের ছবিটি সত্যিই অভিনব। করোনার বিপক্ষে লড়াইয়ে এর আগে জ্যামাইকার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে আর্থিক সাহায্য করেছেন বোল্ট।

বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে এ পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় সাড়ে ১৮ লাখ। সংক্রমিত মোট ১৮৫ দেশ মিলিয়ে মৃতের সংখ্যা প্রায় ১ লাখ ১৫ হাজার। সংক্রমণ এড়াতে ঘরে থাকার বিকল্প নেই।