কেমন ফুটবলার ছিলেন নেইমারের 'নতুন আত্মীয়'

নেইমারের মায়ের প্রেমিক নাকি ফুটবল খেলতেন ষাঁড়ের মতো। ছবি: ইনস্টাগ্রাম
নেইমারের মায়ের প্রেমিক নাকি ফুটবল খেলতেন ষাঁড়ের মতো। ছবি: ইনস্টাগ্রাম

জোর আলোচনা চলছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। নেইমারের নতুন আত্মীয় নিয়ে। কাগজে-কলমে হয়তো এখনো আত্মীয় হতে পারেননি থিয়াগো রামোস। আপাতত প্রেম চলছে নেইমারের মায়ের সঙ্গে। বাকিটা সময় জানে।

নতুন সম্পর্কে জড়ানোয় নেইমার শুভকামনাও জানিয়েছেন তাঁর মা নাদিন গন্সালভেসকে। এদিকে থিয়াগোর ঠিকুজি বের করার চেষ্টা করছেন অনেকে। তিনি কে, কোথায় কী করেন, এসব আরকি। ৫২ বছরের নাদিনের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ানো থিয়াগো নেইমারের চেয়ে ৬ বছরের ছোট। পেশায় তিনি একজন গেমার। ফ্রি ফায়ার গেমের এক দলে খেলেন রামোস। আরেকটি পরিচয়, তিনি একজন মডেলও।

রামোসের আরেকটি পরিচয় আছে। বলা ভালো ছিল, তিনি ফুটবলারও ছিলেন। রিয়াল মাদ্রিদের ভক্ত রামোস গত বছরও খেলেছেন ব্রাজিলিয়ান ফুটবলের তৃতীয় বিভাগে। এরপর আঞ্চলিক পর্যায়ে খেলেছেন সর্বোচ্চ বিভাগে। রামোসের দলের কোচ হোসে ম্যানুয়েল সিজনেরোস বলেন, ‘আমরা এমন অবস্থায় ছিলাম যে পয়েন্ট টেবিলের তিনে ওঠার সুযোগ ছিল। এ কারণে শীতকালীন দলবদলের বাজারে নেমে তিয়াগো রামোসকে দলে নেওয়া হয়।’

তবে ফুটবলার হিসেবে বেশি দূর এগোতে পারেননি রামোস। তাঁর কোচই জানিয়েছেন ঘাটতির কথা। শারীরিক সামর্থ্য থাকলেও দক্ষতায় পিছিয়ে ছিলেন নেইমারের মায়ের প্রেমিক, ‌‘শারীরিকভাবে সে সমর্থ ছিল। পিছিয়ে ছিল দক্ষতায়। এ জায়গাটায় ঘাটতি ছিল তার। অবাক হয়েছিলাম ব্রাজিলে সে পেশাদার ফুটবলার হলো কীভাবে! শারীরিকভাবে, হ্যাঁ সে ছিল অনেকটা ষাঁড়ের মতো। এ কারণে উইংয়ে খেলিয়েছি। সেবার আমরা উঠতে পারিনি’—বলেন সিজনেরোস।

রামোসের ক্যারিয়ার সেখানেই শেষ হয়নি। সিজনেরোসকে একবার বলেছিলেন, ভাগ্য পরীক্ষা করবেন মাদ্রিদে। শেষ পর্যন্ত যোগ দেন ব্রাজিলের দল গুয়ারেনায় (২০১৯/২০)। সেখানে তাঁর সাবেক কোচ হোসে এনরিক পিনেদাও ২২ বছর বয়সী রামোসকে নিয়ে তেমন আশাব্যঞ্জক কিছু বলতে পারেননি, ‘সে ভিলাফ্রাঙ্কাতেই থাকত। ওখানে তাঁর একটা সম্পর্ক ছিল।খুব কম কথা বলত। গুয়ারেনাতে আসার পরও চুপ থাকতেই দেখেছি বেশি। ওখানে (গুয়ারেনা) ওর ব্যক্তিগত সমস্যার প্রভাব পড়েছে খেলায়। দেখা যেত নভেম্বরে অনুশীলন করে গেল, এরপর ডিসেম্বরে জানলাম সে মাদ্রিদে, সেখান থেকে প্যারিসে।’

রামোসের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ানোর কথা প্রকাশ করে এ সপ্তাহে সংবাদমাধ্যমে আলোড়ন তোলেন নেইমারের মা নাদিন গঞ্জালভেস। ২০১৬ সালে নেইমারের সিনিয়রের সঙ্গে সম্পর্ক ছেদ করেন তিনি। এরপর থেকে একাই ছিলেন। ইনস্টাগ্রামে রামোসের সঙ্গে একটি অন্তরঙ্গ ছবি দিয়ে তিনি লেখেন, ‘ব্যাখ্যাতীত বিষয়কে কখনো বর্ণনা করা যায় না, যদি সেভাবে বাঁচ…।’ ১২ লাখ অনুসারীর কাছে এভাবেই নিজের নতুন জীবনের কথা জানান নেইমারের মা।