১৬ বছরের রদ্রিগোকে পেতে ব্রাজিল গিয়েছিলেন ক্লপ

তাঁর এ জার্সিটা লালও হতে পারত। ছবি: এএফপি
তাঁর এ জার্সিটা লালও হতে পারত। ছবি: এএফপি

এ মৌসুমে বেশ কিছু উত্থান পতন দেখেছেন রদ্রিগো গোয়েস। রিয়াল মাদ্রিদের জার্সিতে মৌসুমের শুরুতে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন। রিয়ালের জার্সিতে অভিষেকের এক মিনিটের মধ্যে গোল করেছেন। যে কাজে তরুণ ব্রাজিলিয়ান উইঙ্গারের চেয়ে এগিয়ে আছেন শুধু স্বদেশি কিংবদন্তি ফেনোমেনন রোনালদো নাজারিও। দ্বিতীয় সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে চ্যাম্পিয়নস লিগে হ্যাটট্রিকের রেকর্ডও গড়েছেন। মৌসুম এগোতেই অবশ্য আরেক ব্রাজিলিয়ান তরুণ ভিনিসিয়ুস জুনিয়র তাঁর জায়গা কেড়ে নিয়েছেন মূল একাদশে। কিন্তু রিয়াল মাদ্রিদের ভবিষ্যতের চিন্তায় যে ভালভাবেই আছেন রদ্রিগো, সেটা বলা দ্বিরুক্তি হবে।

ব্রাজিলিয়ান এই উইঙ্গারকে ১৭ বছর বয়সেই কিনে রেখেছিল রিয়াল। কিন্তু ইউরোপে ১৮ বছরের কম বয়সী কোনো খেলোয়াড়কে আনায় নিষেধাজ্ঞা থাকায় আরও এক মৌসুম অপেক্ষা করেছে তারা। ১৭ বছরের রদ্রিগোকে কিনতে ৪৫ মিলিয়ন ইউরো দিতে দুবার ভাবেনি রিয়াল। কর হিসেব করলে খরচটা আরও বেশিই হবে রিয়ালের। তবু এক বছর কোনো সেবা পাওয়া যাবে না জেনেও তাঁকে কিনে নিয়েছে রিয়াল। যেমনটা ঠিক ভিনিসিয়ুসের ক্ষেত্রে করেছিল তারা।

ভিনিসিয়ুসের মতো রদ্রিগোকে পেতেও কম লড়তে হয়নি রিয়ালকে। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনা তো বটেই, এমনকি লিভারপুলও যে তাঁকে পেতে চাইছিল। এমনকি রদ্রিগোর বয়স ১৬ পূর্ণ হওয়ার আগেই নাকি তাঁকে কিনতে চেয়েছিলেন ইয়ুর্গেন ক্লপ। শুধুমাত্র রদ্রিগোকে পাওয়ার আশায় নাকি ব্রাজিলেও গিয়েছিলেন লিভারপুলের কোচ!

রদ্রিগোর এজেন্ট নিক আরকুরি জানাচ্ছেন, রিয়াল নয়, রদ্রিগোকে পাওয়ার জন্য সবার আগে আগ্রহ দেখিয়েছিল লিভারপুল। ইউটিউবে এক লাইভ অনুষ্ঠানে আরকুরি বলেছেন, ‘১৬ বছরের রদ্রিগো যখন প্রথম পেশাদার চুক্তি (এর কম বয়সী ফুটবলারদের পেশাদার চুক্তি করা যায় না) করতে যাচ্ছিল, তখন লিভারপুলের এক পরিচালক আমাকে ফোন দিয়ে বলেছিলেন, ক্লপ এরই মধ্যে এই খেলোয়াড়কে দেখেছেন, কী করতে পারে বুঝেছেন। এরই মধ্যে ক্লপ এসে রদ্রিগোকে দেখে গেছেন।’

রদ্রিগোকে কীভাবে চোখে পড়েছিল ক্লপের সেটাও জানিয়েছেন আরকুরি, ‘তিনি ইউটিউবে গিয়ে লিখেছেন ব্রাজিলের প্রতিভা। সেখানে রদ্রিগোকে পেয়েছেন। যদিও খুবই কমবয়সী ছিল রদ্রিগো। তবু ক্লপ ব্রাজিলে এসেছেন এবং রদ্রিগোকে দেখে তাঁর পছন্দ হয়েছে। লিভারপুল আমার সঙ্গে যোগাযোগ করে। সেই পরিচালক রদ্রিগোকেই তাঁর প্রথম দলবদল করতে চেয়েছিলেন। আমি লন্ডনে গিয়ে তাদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। লিভারপুলের লন্ডনে একটা অফিস আছে। লিভারপুলের দেওয়া প্রস্তাব আমি সান্তোসের সে সময়কার সভাপতি মদেস্তোকে জানাই।’

রিয়াল মাদ্রিদের ভাগ্য ভালো, সান্তোস সে সময় ১৬ বছরের রদ্রিগোকে বিক্রি করতে রাজি হয়নি। আরকুরি বললেন, ‘মদেস্তো সে প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছে। তারা রদ্রিগোকে বিক্রি করতে অনিচ্ছুক ছিল এবং তাঁকে পেশাদার চুক্তি সই করায়। কিন্তু রদ্রিগোকে প্রথম প্রস্তাব লিভারপুলই দিয়েছিল।’