আম দিয়ে মন জয়

আম দিয়েই মন জয় করে নেওয়া যায়। প্রতীকী ছবি
আম দিয়েই মন জয় করে নেওয়া যায়। প্রতীকী ছবি
>

অন্যান্য ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগগুলোর মতো আইপিএলেও দেশি বিদেশি নানান ক্রিকেটারের সমাহার দেখা যায় দলগুলোর ড্রেসিংরুমে। ভিন্ন ভিন্ন দেশের খেলোয়াড়দের মধ্যে গড়ে ওঠে বন্ধুত্ব। এমনই বন্ধুত্বের এক মজার কথা উল্লেখ করেছেন রাজস্থান রয়্যালসের ভারতীয় পেসার জয়দেব উনাদকাট

আম খেতে কে না ভালোবাসে!

উপমহাদেশের মানুষের কাছে আম অত্যন্ত লোভনীয় এক খাবার। তবে রাজস্থান রয়্যালসের পেসার জয়দেব উনাদকাটের কথা মানলে, শুধু উপমহাদেশের মানুষই নয়, ইংল্যান্ডের এক বিখ্যাত তারকাও মজেছেন আমের জাদুতে। তিনি আর কেউই নন, তারকা অলরাউন্ডার বেন স্টোকস। যিনি রাজস্থান রয়্যালসে উনাদকাটের সতীর্থ।

করোনাভাইরাসের কারণে পিছিয়েছে আইপিএল। এখন যেখানে আট ফ্র্যাঞ্চাইজির খেলোয়াড়দের মাঠের লড়াইয়ে নামার কথা ছিল, এখন তাঁদের হাতে অখণ্ড অবসর। সবাই বাসায় বসে আছেন, কোয়ারেন্টিনের নিয়ম অনুসরণ করছেন। কিন্তু এর মধ্যেই রাজস্থান রয়্যালস সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রয়েছে বেশ সরব। নিজ দলের খেলোয়াড়দের নিয়ে নিয়মিত ‘পডকাস্ট' আয়োজন করছে তাঁরা। খেলোয়াড়েরা আসছেন ইনস্টাগ্রাম লাইভে। এমনই এক পোস্টে দলের বাঁহাতি পেসার জয়দেব উনাদকাট প্রকাশ করেছেন মজার এক কাহিনি।

সৌরাষ্ট্রের হয়ে এবার রঞ্জি ট্রফি জেতা এই তারকা আইপিএল খেলতে এসে আম খাইয়েছিলেন রাজস্থান সতীর্থদের। আর তাই খেয়ে অনেক খুশি হয়েছিলেন বেন স্টোকস, ‘আমি যখন দলের সবার জন্য আম আনলাম, ও (স্টোকস) ছিল সবার চেয়ে খুশি। এমনকি ও আমাকে নতুন একটা নামও দিয়ে দিল - “আম মানব (ম্যাঙ্গো ম্যান)”!’

নিজের আউট হওয়াটা ভালোভাবে নিতে পারেন না স্টোকস, এটাও জানা গেছে উনাদকাটের কল্যাণে, ‘স্টোকস ও আউট হয়ে গেলে বিপদ। আমার এখনো মনে পড়ে, ও আউট হয়ে গেলে ব্যাট আর হেলমেট ভেঙে ফেলে।' যদিও সতীর্থের এই ছেলেমানুষি মন জয় করে নিয়েছে উনাদকাটের, ‘ও অসাধারণ একজন মানুষ, চ্যাম্পিয়ন ক্রিকেটার একজন।’

এবার তিন কোটি রুপির বিনিময়ে স্টোকসের সতীর্থ হওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন উনাদকাট। কিন্তু মাঠে নামার সুযোগ হচ্ছে কই? খেলার জন্য মুখিয়ে থাকলেও উনাদকাট বোঝেন ঘরে থাকার গুরুত্ব, ‘আমি মাঠে ফেরার জন্য মারা যাচ্ছি। কিন্তু আমি অভিযোগ করতে পারি না। যত কষ্টই হোক না কেন, এই লড়াইটা আমাদের জিততেই হবে।’