দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীকে বন্ধু করেছে করোনা

১৯৮২ বিশ্বকাপের দ্বিতীয় রাউন্ডে ব্রাজিল-ইতালির ম্যাচটি বিশ্বকাপের ইতিহাসেই সেরা ম্যাচের একটি। ফাইল ছবি
১৯৮২ বিশ্বকাপের দ্বিতীয় রাউন্ডে ব্রাজিল-ইতালির ম্যাচটি বিশ্বকাপের ইতিহাসেই সেরা ম্যাচের একটি। ফাইল ছবি

ফ্যালকাও, সক্রেটিস, জিকো, এদের, জুনিনহোদের নিয়ে গড়া ছিল দলটি। ব্রাজিলের যে দলটিকে বিশ্বকাপ না জেতা সেরা দল হিসেবেই মনে করেন অনেকে। এখনো ব্রাজিলিয়ানদের কাছে আক্ষেপের নাম হয়ে আছে ১৯৮২-এর সেই বিশ্বকাপ। জিকো-সক্রেটিসরা যে দ্বিতীয় রাউন্ডে ইতালির কাছে হেরে বিদায় নিয়েছিলেন। ৩৮ বছর পরে সেই গল্প মনে করিয়ে দেওয়ার কারণ? প্রতিদ্বন্দ্বী দুটি দল এবার এক সঙ্গে মাঠে নেমেছে। তাদের প্রতিপক্ষ অদৃশ্য করোনা ভাইরাস। করোনাকে হারাতে তহবিল সংগ্রহে সেই দুই দলের খেলোয়াড়েরা এখন ‘বন্ধু’।

ব্রাজিল অর্থনীতিকে খুব একটা ভালো বলা যাবে না। দেশটির জনাকীর্ণ বস্তিগুলোতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে সপ্তাহখানেক আগে ডাক দিয়েছে বিরাশির ব্রাজিল দল। সেই দলটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন ইন্টারন্যাসিওনাল আর রোমার ইতিহাসের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় ফ্যালকাও। তাঁর সঙ্গে জিকো, জুনিয়র, লিয়ান্দ্রোসহ বিরাশির সেই দলের ১৯ জন খেলোয়াড় এক ভিডিও বার্তায় সবাইকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন। এরই মধ্যে ৮ লাখ ৫৯ হাজার ডলার তুলেও ফেলেছেন তাঁরা।

এবার তাঁদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন সেই বিশ্বকাপের শিরোপা জয়ী ইতালি দলের খেলোয়াড়েরা। ফ্যালকাও, সক্রেটিসরা ইতালিয়ান লিগে খেলার সুবাদে ইতালির পাওলো রসি, জিওসেপ্পে বারগোমি, ক্লদিও জেনতিলেদের সঙ্গে ভালো সখ্যতা আগে থেকেই ছিল। তাই ফ্যালকাওদের ডাকে সাড়া দিয়েছেন তাঁরাও। ইতালির সেই দলটির ডিফেন্ডার ফ্রাঙ্কো কাউসিও বলেছেন, ‘ইতালি আর ব্রাজিল মাঠে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী। কিন্তু করোনাভাইরাসের বিপক্ষে লড়াইয়ে আমরা ঐক্যবদ্ধ।’