সতীর্থের টাকা দেখে হিংসায় পুড়ে মরছিলেন তাঁরা

ফর্মে থাকা পিটারসেনকে পেতে লড়াইয়ে নেমেছিল আইপিএলের দলগুলো। ছবি: পিটারসেন টুইটার
ফর্মে থাকা পিটারসেনকে পেতে লড়াইয়ে নেমেছিল আইপিএলের দলগুলো। ছবি: পিটারসেন টুইটার

দক্ষিণ আফ্রিকায় জন্ম হলেও জাতীয় দল হিসেবে ইংল্যান্ডকে বেছে নিয়েছিলেন কেভিন পিটারসেন। ২০০৪ সালে ইংল্যান্ড দলে অভিষেক হয় এই অলরাউন্ডারের। পরবর্তীতে ইংল্যান্ডকে দিয়েছেন নেতৃত্বও। ২০১০ সালে ইংল্যান্ডের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল তাঁর। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে মর্যাদার অ্যাশেজ জয়েও ভূমিকা রেখে হয়েছিলেন সমর্থকদের চোখের মণি।

কবজির জোর আর টাইমিংয়ে ঝড় তোলার জন্য বিখ্যাত ছিলেন পিটারসেন। ফলে আইপিএলের দ্বিতীয় মৌসুমে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার ব্যাঙ্গালুরু তাঁকে চড়া দামে কিনে নিয়েছিল। ১৫ লাখ ৫০ হাজার ডলারে তাঁকে সে সময়কার সবচেয়ে দামি বিদেশি ক্রিকেটার বানিয়েছিল ব্যাঙ্গালুরু। এই চড়া দামে বিক্রি হওয়াটাই কাল হয়ে দাঁড়িয়েছিল পিটারসেনের। আর্থিকভাবে এতটা এগিয়ে যাওয়ায় ইংল্যান্ড জাতীয় দলের সতীর্থদের হিংসার পাত্র হয়ে ছিলেন পিটারসেন।

ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক মাইকেল ভন জানিয়েছেন সে কথা। ২০১২ সালে ইংল্যান্ডের দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের সময়ে প্রথম জানা যায় কোন্দলের কথা। এমনকি এর জের ধরেই পরবর্তীতে ইংল্যান্ড দলে পিটারসেনের অধ্যায় খুব দ্রুত শেষ হয়েছে বলে মনে করেন ভন।

সে সময়ের কথা স্মরণ করে ভন বলেন, 'পিটারসেনের যখন বড় অঙ্কের চুক্তি হলো, তখন অনেকে খুব হিংসে করেছিল। যদিও এখন খেলোয়াড়েরা তা অস্বীকার করবে।' গুঞ্জন ছিল দলের সিনিয়র খেলোয়াড়দের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি হয়েছিল। সে অবস্থায় পিটারসেন একাকী হয়ে পড়েছিলেন বলে জানান ভন, 'দলে সব রকমের ফিসফাস ও গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল। এক পাশে গ্রায়েম সোয়ান, টিম ব্রেসনান, (জেমস) অ্যান্ডারসন, (স্টুয়ার্ট) ব্রড ও ম্যাট প্ররায়। অন্য পাশে নিজের মতো দাঁড়িয়ে কেভিন ( পিটারসেন)।'

পিটারসেন সতীর্থদের বোঝানোর চেষ্টা করেছিলেন আইপিএলে খেলা ইংল্যান্ড দলের জন্যই ভালো হবে, 'সে (পিটারসেন) দলের উদ্দেশে বলেছিল সে আইপিএলে খেলতে চায়। এটা ওয়ানডে দলে উন্নতি করতে সহায়তা করবে। ওয়ানডে খেলোয়াড়েরা সেখানে সুযোগ পেলে তাদেরও খেলার উন্নতি হবে। কিন্তু বাকি খেলোয়াড়েরা মনে করেছিল, সে শুধু টাকার জন্যই খেলতে চায়।'