বলে থুতু আর ঘাম মাখানোর পক্ষে নেহরা-হরভজন

বলে ঘাম বা থুতু না মাখালে সুইং করাতে পারবেন না বোলাররা। ছবি: এএফপি
বলে ঘাম বা থুতু না মাখালে সুইং করাতে পারবেন না বোলাররা। ছবি: এএফপি

করোনা–পরবর্তী সময়ে ক্রিকেটে থুতু দিয়ে বল চকচকে করা, কিংবা ঘাম মাখানোর সংস্কৃতিটা উঠে যাবে? আপাতদৃষ্টিতে কিছুটা দৃষ্টিকটু এই ব্যাপারটিই বহুকাল ধরে ক্রিকেটের অবিচ্ছেদ্য অংশ। মাঠে বোলাররা বা ফিল্ডাররা বলে থুতু ঘষছেন না, এমন দৃশ্য দেখার জন্যও তো তৈরি নয় ক্রিকেটপ্রেমীদের চোখ।

কিন্তু করোনার কারণে স্বাস্থ্যবিধি অক্ষরে, অক্ষরে মেনে চলাটা এখন বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তাই ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নীতি–নির্ধারকেরা খেলাটি থেকে 'অস্বাস্থ্যকর' এই রীতিটা তুলে দেওয়ার কথাই ভাবছেন। তবে এখানে কিছু ব্যাপার আছে। ক্রিকেটে কৃত্রিম কোনো জিনিস, যেমন ভ্যাসলিন, শিরিষ কাগজ ইত্যাদি দিয়ে বল ঘষা আইনবহির্ভূত। তাই 'প্রাকৃতিক' থুতু ও ঘামই বল চকচকে করতে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এটি যদি বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে ঘোরতর বিপদেই পড়তে হবে বোলারদের। ক্রিকেট বলে যেকোনো ধরনের সুইং করাতেই থুতু ও ঘামের ব্যবহার আবশ্যিক। ভারতের দুই সাবেক বোলার আশিস নেহরা ও হরভজন সিং তো বলেই দিয়েছেন, ক্রিকেট বল সুইং করাতে থুতু আর ঘামের বিকল্প নেই।

ভারতের সাবেক বাঁ হাতি পেসার আশিস নেহরাকে ভাবিয়ে তুলেছে ব্যাপারটি, 'প্রথমত বলে সুইং করাতে হলে থুতু আর ঘাম লাগাতেই হবে।'
অনেকেই থুতু ও ঘামের বিকল্প হিসেবে বলে ভ্যাসলিন ব্যবহার করেন, যদিও এটি বর্তমান ক্রিকেটের আইনে অবৈধ। কেউ কেউ তো শিরিশ কাগজ এমনকি ট্রাউজারের চেইনের জিপার দিয়ে বল ঘষেছেন কেবল মাত্র বাড়তি সুইংয়ের আশায়। ১৯৭৬ সালে ইংলিশ বোলার জন লেভারের সেই ভ্যাসলিন মাখানোর কাহিনি খুবই বিখ্যাত। তবে নেহরা মনে করেন, যা–ই করা হোক না কেন, থুতু আর ঘাম লাগবেই, 'আমি রীতিমতো বাজি ধরে বলতে পারি লেভার বলে ভ্যাসলিন মাখানোর আগে থুতু ও ঘাম ব্যবহার করেছিল। ভ্যাসলিন কেবল বলটাকে স্কিড করাতে বাড়তি সহায়তা করবে।'
নেহরার সঙ্গে একমত হয়ে বল বিকৃতি বা কৃত্রিম বস্তু ব্যবহারের বিপদটা বলেছেন অফ স্পিনার হরভন সিং, 'একবার ভেবে দেখুন থুতু আর ঘাম নিষিদ্ধ হওয়ার পর বোলাররা বলে সুইং করাতে বোতলের ছিপি ব্যবহার করবে। ইনিংসের পঞ্চম ওভার থেকেই বল যদি রিভার্স সুইং করা শুরু করে তাহলে ব্যাপারটা কী দাঁড়াবে!'