করোনাভাইরাস বাঁচিয়ে দিল ম্যারাডোনাকে

জিমনাসিয়ার কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ম্যারাডোনা। ছবি : এএফপি
জিমনাসিয়ার কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ম্যারাডোনা। ছবি : এএফপি

>করোনাভাইরাসের কারণে আর্জেন্টিনায় চলতি মৌসুমের সব ধরনের প্রতিযোগিতা বাতিল হয়ে গিয়েছে। আর এতেই হাঁপ ছেড়ে বেঁচেছেন আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি ডিয়েগো ম্যারাডোনা

আর দশটা দেশের মতো আর্জেন্টিনাও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ভাইরাসকে যাতে নিয়ন্ত্রণে আনা যায় সে ব্যাপারে তারা বদ্ধপরিকর। তাই অন্যান্য দেশের মতো আর্জেন্টিনা সরকারও সব ধরনের খেলাধুলা স্থগিত করে দিয়েছিল। কিন্তু করোনা যেন নিয়ন্ত্রণের বাইরে না চলে যায় সে কারণে গোটা মৌসুমটাই বাতিল করে দিয়েছে দেশটি। বিভিন্ন প্রতিযোগিতার যেসব ম্যাচ বাকি ছিল, সেগুলো আর আয়োজিত হবে না। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে একেবারে সামনের মৌসুম থেকে নতুন থেকে শুরু হবে সবকিছু।

আর এই এক সিদ্ধান্তের কারণেই বেঁচে গেছেন ডিয়েগো ম্যারাডোনা। কিন্তু কেন?

মৌসুম বাতিল হলেও আর্জেন্টিনার শীর্ষ লিগ সুপারলিগার মৌসুম বহু আগেই শেষ এমনিতেও। এবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বোকা জুনিয়র্স। অন্যান্য পর্যায়ের লিগসহ কাপ পর্যায়ের ম্যাচগুলো বাকি ছিল। সেগুলোই বাতিল হয়েছে মূলত। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, চলতি মৌসুমে শীর্ষ লিগ খেলা কোনো দলই অবনমিত হবে না। অবনমন না হওয়ার এই ধারা বজায় থাকবে আগামী মৌসুমেও। অবনমনের খাঁড়ায় সবার আগে পড়ে বসেছিল ম্যারাডোনার ক্লাব জিমনাসিয়া। নতুন সিদ্ধান্তের কারণে ম্যারাডোনা তাঁর ক্লাব নিয়ে অন্তত আগামী দুই মৌসুম নিশ্চিন্তে শীর্ষ লিগে খেলতে পারবেন।

বড় আশা করে মৌসুমের মাঝামাঝিতে, গত সেপ্টেম্বরে সাবেক কোচ দারিও ওরতিজকে ছাঁটাই করে ডিয়েগো ম্যারাডোনাকে নিয়ে আসে ক্লাবটা। আশা ছিল, ম্যারাডোনার ছোঁয়ায় ক্লাবটা তাঁর হতোদ্যম অবস্থা কাটিয়ে ফর্মে ফিরবে। তা খানিক ফিরেছে বটে। ম্যারাডোনা দায়িত্ব নেওয়ার সময় যে লিগ টেবিলে যে দলের অবস্থান ছিল একদম শেষে (২৪ তম), লিগ শেষে তাঁরা উনিশে উঠে আসে। তাতেও রক্ষা হয়নি। কারণ অন্যান্য লিগের মতো শুধু চলতি মৌসুমের হিসাব করে অবনমন হয় না আর্জেন্টিনায়। আর্জেন্টিনায় অবনমনের হিসেবটা আরও জটিল। সর্বশেষ তিন মৌসুমে শীর্ষ লিগ খেলা দলগুলো মোট কত পয়েন্ট পেয়েছে, সেটাকে ভাগ করা হয় মোট খেলা ম্যাচের সংখ্য্যা দিয়ে। তাতে গড়ে যে তিনটি দল দবচেয়ে কম পয়েন্ট পায় তারাই হয় অবনমিত। আর এই হিসেবেই কপাল পোড়ার কথা ছিল জিমনাসিয়ার। কারণ গত দুই মৌসুমেও তাঁদের অবস্থা বিশেষ ভালো ছিল না। সর্বশেষ তিন মৌসুমের পয়েন্টের গড়ে তাঁদের অবস্থান ছিল সবার নিচে।

কিন্তু করোনাভাইরাস এসেই সব হিসেব বদলে দিল। এখন থেকে দুই মৌসুম অবনমনের শঙ্কায় থাকতে হবে না কাউকে। কিন্তু দ্বিতীয় বিভাগ থেকে ঠিকই দুই দল উন্নীত হতে পারবে। ফলে আগামী মৌসুম থেকে মোট ছাব্বিশ দল নিয়ে আয়োজন করা হবে আর্জেন্টিনার শীর্ষ লিগ সুপারলিগা।

ম্যারাডোনা হাঁপ ছেড়ে বাঁচতেই পারেন!