কোহলিকে সন্দেহের চোখে দেখেছিলেন ডি ভিলিয়ার্স

ব্যাঙ্গালুরুর সেরা দুই অস্ত্রে পরিণত হয়েছেন এ দুজন। ছবি: আরসিবি টুইটার
ব্যাঙ্গালুরুর সেরা দুই অস্ত্রে পরিণত হয়েছেন এ দুজন। ছবি: আরসিবি টুইটার

আইপিএলে এ দুজনের জুটিটা অবিশ্বাস্য কিছু কীর্তি দেখিয়েছে। উইকেটের দুই প্রান্তে যখন এবি ডি ভিলিয়ার্স আর বিরাট কোহলি, তখন এমন কিছু দেখা অবশ্য স্বাভাবিক। দুজন যেদিন ফর্মে থাকেন, বোলারদের যে করার কিছু থাকে না। এ দুজনের এমন রসায়ন কোনো দিন হবে, সেটা ভাবেননি ডি ভিলিয়ার্স। প্রথম দেখায় যে কোহলিকে নিয়ে তাঁর মনে সন্দেহ দেখা দিয়েছিল।

আইপিএলের প্রথম তিন মৌসুম দিল্লিতেই ছিলেন ডি ভিলিয়ার্স, এর পর যোগ দিয়েছেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুতে। ওদিকে অনূর্ধ্ব-১৯ দলে থাকার সময় থেকেই বেঙ্গালুরুতে ছিলেন কোহলি। ডি ভিলিয়ার্স যখন যোগ দিচ্ছেন, তত দিনে ভবিষ্যৎ অধিনায়ক হিসেবে তাঁর নাম আলোচিত হচ্ছে। কিছুদিন আগে এসব নিয়ে দুজনের মধ্যে কথা হচ্ছিল ইনস্টাগ্রাম লাইভে। সেখানেই জানা গেল ডি ভিলিয়ার্সের প্রাথমিক মনোভাবের কথা।

কোহলির সঙ্গে প্রথম জুটি বাঁধার সময়কার কথা বলছিলেন ডি ভিলিয়ার্স, 'এটা মজার এক গল্প। কারও ব্যাপারে টানা কয়েক বছর কিছু শুনলে মানুষের মনে হয় এটা করাই স্বাভাবিক। আমি তোমার ব্যাপারে মার্ক বাউচারের কাছে অনেক শুনতাম। আরসিবির হয়ে যখন খেলা শুরু করলে তখন বোধ হয় তোমার বয়স ১৮ বা ১৯। বাউচার তোমার ব্যাপারে আমাকে বলত। তিন বছর ধরেই তোমার ব্যাপারে জানি কিন্তু কখনো দেখা হয়নি।'

কোহলির ব্যাপারে মনের মধ্যে যে সংকোচ ছিল তাঁর ব্যাখ্যা দিয়েছেন ডি ভিলিয়ার্স, 'নিজেকে একটু রক্ষণাত্মক বলয়ে রাখাটা মজ্জাগত ব্যাপার। আমার মনে আছে, তোমার সঙ্গে দেখা হওয়ার সময় “হাই” বলেছিলাম। কিন্তু মানসিকভাবে তখন রক্ষণাত্মক ছিলাম, 'মন বলছিল, “আমি একে এখন বিশ্বাস করি না।” আমি এর ব্যাপারে অনেক শুনেছি। আমি ওর স্টাইল দেখেছি কিন্তু আমি এখনো নিশ্চিত নই।'

প্রাথমিক সে অনুভূতি পরে ঠিকই কাটিয়ে উঠেছেন ডি ভিলিয়ার্স। সে সুবাদেই তো মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের বিপক্ষে ২০১৫ সালে ২১৫ রানের এক জুটি গড়েছিলেন। পরের মৌসুমে আবার সেটিকেও ছাড়িয়েছেন। গুজরাট লায়নসের বিপক্ষে ২২৯ রানের প্রায় অবিশ্বাস্য এক জুটি গড়েছেন দুজন।