ছয় সপ্তাহে চারবার করোনায় আক্রান্ত দিবালা

করোনা পিছুই ছাড়ছে না দিবালার। ছবি : এএফপি
করোনা পিছুই ছাড়ছে না দিবালার। ছবি : এএফপি
>ফুটবলারদের মধ্যে করোনাভাইরাস সবচেয়ে বেশি ভোগাচ্ছে জুভেন্টাসের আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার পাওলো দিবালাকে।

করোনাভাইরাস যে ফুটবলারদের আক্রান্ত করেনি, তা কিন্তু নয়। ব্লেইজ মাতুইদি, দানিয়েলে রুগানি, পাওলো দিবালার মতো বর্তমান খেলোয়াড় থেকে শুরু করে রুস্তু রেকবার কিংবা মিকেল আরতেতার মতো সাবেকেরা আক্রান্ত হয়েছেন এই ভাইরাসে। তবে আর্জেন্টাইন তারকা পাওলো দিবালার মতো কপাল খারাপ বোধহয় কারোরই না। এই নিয়ে গত ছয় সপ্তাহের মধ্যে চারবার করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন তিনি।

খবরটা দিয়েছে স্পেনের টিভি অনুষ্ঠান 'এল চিরিঙ্গিতো'। গত মাসের একুশ তারিখে দিবালা ইনস্টাগ্রামে ঘোষণা দিয়েছিলেন, তিনি ও তাঁর বান্ধবী ওরিয়েলা সাবাতিনি করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। দুজনই দ্রুত পনেরো দিনের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিনে চলে গিয়েছিলেন। অস্বাভাবিক কিছু না ঘটলে এই পনেরো দিনের মধ্যেই দিবালা সুস্থ হয়ে যাবেন, এমনটাই ভাবা হয়েছিল। কিন্তু সেটা হয়নি। কিছুদিন পর দিবালার বান্ধবী ওরিয়েলা সাবাতিনি ঘোষণা দিয়েছিলেন, দ্বিতীয়বারের মতো কোভিড পজিটিভ হয়েছেন তাঁরা। তবে দ্বিতীয়বার সংক্রমণের কোনো লক্ষণ দেখা যায়নি তাঁদের শরীরে। আর এবার এল চিরিঙ্গিতোর কথা মানলে চতুর্থবার একই দুর্দশায় পড়েছেন দিবালা। স্বাভাবিকভাবেই দিবালাকে আরও সতর্ক থাকতে হবে।

করোনাভাইরাসের প্রভাব অনেকটাই কাটিয়ে উঠেছে ইতালি। কিছুদিন আগেও করোনার ছোবলে দিশেহারা হয়ে পড়েছিল দেশটি। অবস্থার উন্নতি হওয়ায় আর বিশ দিন পর থেকে ফুটবলারদের অনুশীলন শুরু করার অনুমতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী গিউসেপ্পে কন্তে। আগামী মে মাসের ১৮ তারিখ থেকে অবস্থা বিবেচনা করে চাইলে রোনালদো, দিবালা, লুকাকু, ইব্রাহিমোভিচরা নিজ নিজ ক্লাবের হয়ে অনুশীলন শুরু করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন তিনি , 'আমি ফুটবল ভালোবাসি। ইতালিয়ান লিগ ছাড়া বেঁচে থাকতে হবে, এমনটা কখনও ভাবতে পারিনি। কিন্তু পরিস্থিতি বিবেচনায় এখন সেটাই করতে হচ্ছে। আস্তে আস্তে আগে অনুশীলন করা শুরু করি, তারপর নাহয় দেখা যাবে লিগ শুরু করার জন্য কোন সময়টা উপযুক্ত।'

আগামী মাসের চার তারিখ থেকে ১৮ তারিখের মধ্যে যেকোনো সময়ে অনুশীলনে ফিরবে জুভেন্টাস। তবে সে অনুশীলনে দিবালা থাকবেন কি না, এখনই বলা যাচ্ছে না। টানা চারবার আক্রান্ত হওয়ার ফলে দিবালার শরীরে করোনা প্রতিরোধী অ্যান্টিবডি সৃষ্টি হয়ে যাওয়ার কথা। ডাক্তাররা সেটার আশাই করছেন এখন। সে কারণে খুবই তাড়াতাড়ি দিবালার রক্ত পরীক্ষা করা হবে।