ক্লাব বদলানোয় মৃত্যুর হুমকি

শালকে ছেড়ে যাওয়ায় দুজনকে সমর্থকদের ক্ষোভ টের পেতে হয়েছে। ছবি: জার্মান লিগ টুইটার
শালকে ছেড়ে যাওয়ায় দুজনকে সমর্থকদের ক্ষোভ টের পেতে হয়েছে। ছবি: জার্মান লিগ টুইটার

ফুটবল দুনিয়ায় একটি কথা প্রচলিত। অ্যাডলফ হিটলারের প্রিয় ফুটবল ক্লাব ছিল নাকি শালকে। যদিও ঐতিহাসিকদের দাবি মানলে হিটলার খেলাধুলায় খুব একটা বিশ্বাসী ছিলেন না। তাই শালকের প্রতি হিটলারের ভালোবাসা আসলেই ছিল কিনা এটা প্রমানের উপায় নেই। তবে শালকের সমর্থকদের আচরণ কিন্তু অনেকটা হিটলারের মতোই-গোঁড়া এবং একগুঁয়ে।

এ মৌসুম শেষ হলেই শালকে ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন আলেক্সান্দার নুবেল। ২৩ বছর বয়সী জার্মান গোলরক্ষককে এ বছরই দলের অধিনায়ক বানানো হয়েছিল। কিন্তু শালকের মায়া ছেড়ে আরও বড় কিছু অর্জনের আশায় মুফতেই আগামী মৌসুমে বায়ার্ন মিউনিখে যোগ দেবেন নুবেল। এ ব্যাপারে কোনো রাখঢাক রাখেননি নুবেল। বায়ার্নের কিংবদন্তি কার্ল-হেইঞ্জ রুমিনেগে বলেছেন, ‘বায়ার্নের সবাই, কোচ ফ্লিকও আলেক্সান্দার নুবেলের আগমণের খবরে খুশি।’

এমন খবরে চটেছেন ক্লাবটির সমর্থকেরা। খেলোয়াড়কে তো হাতের নাগালে পাওয়া যাচ্ছে না, তাই ক্লাবের কিছু উগ্র সমর্থক নুবেলের বাবা-মাকে হত্যার হুমকি দিয়েছেন। বিল্ডের ভাষ্যমতে, লাগাতার হত্যার হুমকির পর প্যাডেরবোর্নের বাসা ছেড়ে ছুটিতে গেছেন নুবেলের পিতামাতা। এ ব্যাপারে খেলোয়াড়ের ম্যানেজার স্তেফান ব্যাকস বলেছেন, ‘আলেক্সান্দারের সঙ্গে যা হচ্ছে তা হলো অনেক মানুষের দ্বায়িত্বজ্ঞানের অভাব।’

তবে শালকের সমর্থকদের আচরণ নতুন কিছু নয়। কিছুদিন আগেই শালক ছেড়েই বায়ার্নে এসেছেন লিওন গোরেৎসকা। বায়ার্নে যাওয়ার খবর প্রকাশিত হওয়ার পর ক্লাবের সমর্থকদের লাঞ্চনার শিকার হয়েছেন এই মিডফিল্ডার। তবে সবচেয়ে বাজে পরিস্থিতিতে পড়েছিলেন ম্যানুয়েল নয়্যার। বায়ার্ন কিংবদন্তিতে পরিণত হওয়া এই গোলরক্ষক ২০১১ সালে শালকে থেকেই এসেছিলেন। সেবার তাঁকে এক সমর্থক চড় মেরেছিলেন এই খবরে। ৯ বছর পর সেই নয়্যারের বিকল্প হতে যাচ্ছেন শালকেরই আরেক গোলরক্ষক, ব্যাপারটি তাই হজম করতে কষ্ট হচ্ছে শালকের সমর্থকদের।