অলিম্পিক নিয়ে শঙ্কায় জাপানি প্রধানমন্ত্রীও

অলিম্পিক নিয়ে শঙ্কিত জাপানের প্রধানমন্ত্রীও। ছবি: এএফপি
অলিম্পিক নিয়ে শঙ্কিত জাপানের প্রধানমন্ত্রীও। ছবি: এএফপি

করোনার প্রতিষেধক আবিষ্কৃত না হলে অলিম্পিক বাতিলই হয়ে যেতে পারে—এমন শঙ্কা টোকিও অলিম্পিক কমিটির প্রধান ইয়োশিরো মোরি। এমনিতেই আগামী ২১ জুলাই থেকে যে অলিম্পিক শুরুর কথা ছিল, সেটি পিছিয়ে গেছে এক বছর। কিন্তু পরিস্থিতি যা, তাতে ২০২১ সালেও অলিম্পিক আয়োজন নিয়ে শঙ্কা থাকছে। একই শঙ্কার কথা বলেছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো অ্যাবে। জাপানি পার্লামেন্টে তিনি এ শঙ্কার কথা উচ্চারণ করেছেন।

করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জেতাটাই আসল কাজ বলে ভাবছেন আবে, 'আমাদের অবশ্যই এই মহামারীর বিরুদ্ধে দীর্ঘ সময় লড়াইয়ের উপায় বের করতে হবে। যতক্ষণ পর্যন্ত না করোনাভাইরাসের এই মহামারি নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে ততক্ষণ খেলা ভালোভাবে আয়োজন অসম্ভব।'
আবের আপাতত একটাই লক্ষ্য করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জেতা, 'বর্তমান পরিস্থিতিতে আমাদের যত দ্রুত সম্ভব এই মহামারির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জিততে হবে। অলিম্পিক এমনভাবে হতে হবে যাতে মনে হয় করোনা মহামারীর বিরুদ্ধে সারা বিশ্বই জিতেছে। তা না হলে অলিম্পিক আয়োজন কঠিন হবে।'
জাপান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন এরই মধ্যে জানিয়ে দিয়েছে যে যতক্ষণ পর্যন্ত না করোনার প্রতিষেধক আবিষ্কার হচ্ছে ততক্ষণ অলিম্পিক আয়োজন উচিত হবে না। কিন্তু এই বিষয়ের সঙ্গে আবার একমত হতে পারছে না আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি (আইওসি)। জাপান ও আইওসির সমন্বয়ক কমিশনের প্রধান জন কোয়েটস জানান, অলিম্পিকের খেলা ভ্যাকসিনের ওপর নির্ভরশীল না। আইওসি সভাপতি থমাম বাখ অবশ্য ২০২১ অলিম্পিকের বেশ কিছু ইভেন্টে পরিবর্তন আনার আভাস দিয়েছেন। তিনি বলেন, 'এই মুহূর্তে কেউ জানে না করোনা ভাইরাস পরবর্তী বিশ্ব কেমন হবে। একটা বিষয় পরিস্কার, এমন হতে পারে যে আমাদের কেউই একক কোনো উদ্যোগ বা ইভেন্ট ধরে রাখতে পারব না। যেটা এই সঙ্কট শুরুর আগে পরিকল্পনা করেছিলাম।'
টমাস বাখ জানান, অলিম্পিক বাতিল হয়ে গেলে কোটি কোটি ডলার ক্ষতি হবে আইওসির। এরই মধ্যে বাখের সঙ্গে সভা করেছেন আবে। তিনি এক বছরের জন্য অলিম্পিক স্থগিত করতে চান। এর মানে টোকিও প্যারা অলিম্পিকও আরও এক বছর পিছিয়ে যাবে।