লারার জন্মদিনে কেক কাটতেন মুশফিক

মুশফিকুর রহিম
মুশফিকুর রহিম

আজ ৫২-এ পা দিলেন ব্রায়ান লারা। 'ফিফটি' পেরিয়ে জীবনের ইনিংস এগিয়ে যাচ্ছে সামনে। ক্যারিবীয় ক্রিকেট কিংবদন্তি লারা তাঁর জন্মদিনে নিশ্চয়ই পৃথিবীর নানা প্রান্ত থেকে শুভেচ্ছা পাচ্ছেন। শুভেচ্ছা পেয়েছেন বাংলাদেশ থেকেও বড় এক ভক্তের । ভক্তের নাম মুশফিকুর রহিম।


লারাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে মুশফিক ফেসবুকে লিখেছেন, 'আমার শৈশবের নায়ক, আমরা সুপার হিরোকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা। আপনি দীর্ঘজীবী হন।' লারার সঙ্গে তোলা নিজের একটা ছবিও পোস্ট করেছেন মুশফিক।
লারার এতটাই ভক্ত, একসময় তাঁর জন্মদিনে বাসায় কেক কেটেছেন মুশফিক। ক্যারিবীয় কিংবদন্তির প্রতি কেন এতটা ভালো লাগা, সেটির ব্যাখ্যায় বাংলাদেশের সেরা উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান একবার প্রথম আলোকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, 'শুধু লারার কারণে ছোটবেলায় আমরা ভাইবোনেরা ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের জন্য পাগল ছিলাম। মে মাসে ওঁর জন্মদিন, আমারও। লারার জন্মদিনে ভাইবোনেরা মিলে বাসায় কেক কেটে অনুষ্ঠান করতাম। লারার কোনো খেলা মিস করতাম না। তবে ওঁর অনেক ইনিংসই আয়নায় দেখেছি। লারা বাঁহাতি আর আমি ডানহাতি। তাঁর ডানহাতি ব্যাটিংয়ের শ্যাডোটা দেখতে চাইতাম আমি।'

প্রিয় ব্যাটসম্যান লারার সঙ্গে মুশফিকুর রহিম। ছবি: ফেসবুক
প্রিয় ব্যাটসম্যান লারার সঙ্গে মুশফিকুর রহিম। ছবি: ফেসবুক

শৈল্পিক ব্যাটিংয়ে লারা মুশফিককে এতটাই আচ্ছন্ন করেছেন, একটা সময় প্রিয় ব্যাটসম্যানের টেকনিক হুবুহু অনুসরণ করতে চেয়েছিলেন। ছোটবেলায় তিনি ডানহাতি লারা হতে চেয়েছিলেন! পরে অবশ্য মুশফিকের সেটি আর করা হয়নি। কেন করা হয়নি, প্রথম আলোর সাক্ষাৎকারে সেটিও খুলেই বলেছিলেন তিনি, ''বিকেএসপিতে ভর্তি হওয়ার পর ক্লাস সেভেনে থাকতেই টেকনিক খাটিয়ে চেষ্টা করেছিলাম ওঁর মতো ব্যাটিং করতে। কিন্তু কাজটা কঠিন ছিল। ভাগ্য ভালো যে স্যাররা শুরুতেই বলে দেন, 'এটা এমন এক স্টান্স যেটা ফুটওয়ার্ক থেকে শুরু করে তোমার অনেক কিছুকেই আড়ষ্ট করে দেবে।' পরে আমিও আর ওই চেষ্টা করিনি।”
মুশফিক যে তাঁর কত বড় ভক্ত, লারার অবশ্য সেটি অজানা নয়। ওয়েস্ট ইন্ডিজে অনুষ্ঠিত ২০০৭ বিশ্বকাপে প্রিয় ব্যাটসম্যানের সঙ্গে দেখা করেছিলেন 'মুশি'। মজাটা হচ্ছে, উইন্ডিজ কিংবদন্তির সঙ্গে দেখা করতে মুশফিকের ভয়ই হচ্ছিল। লারার রুমে তিনি গিয়েছিলেন সিনিয়র সতীর্থ মোহাম্মদ রফিককে নিয়ে। বাংলাদেশ দলে তাঁর এত বড় একজন ভক্ত রয়েছেন, যিনি আবার সাত সমুদ্র তেরো নদীর ওপাড় থেকে জন্মদিকে কেকও কাটেন, সব শুনে লারার বিস্ময়ের শেষ ছিল না!