এক ম্যাচে ৭/৩৬, ৭/৬৬ ও ৭/৭৬

ওভাল স্টেডিয়ামে দেখা গিয়েছিল নজিরটি। ছবি: এএফপি
ওভাল স্টেডিয়ামে দেখা গিয়েছিল নজিরটি। ছবি: এএফপি

টেস্টে এক ইনিংসে ৫ উইকেট নেওয়াই কঠিন। ভালো বোলারদের সুবাদে দৃশ্যটা খুব একটা অপরিচিত না। তবে এক ম্যাচে একাধিক বোলারের ন্যুনতম ৫ উইকেট নেওয়া তেমন দেখা যায় না। দেখা গেলেও একাধিক বোলারের একইসংখ্যক উইকেট নেওয়া, সেটা ৫-এর বেশি হলে অবশ্যই বিরল।

যেমন ধরুন, ৭ উইকেট। এক ম্যাচে একাধিক বোলারের ৭ উইকেট নেওয়ার নজির নেই বললেই চলে। যদি বলা হয়, এক টেস্টে ৩জন বোলারের ৭ উইকেট নেওয়ার নজির রয়েছে। অবিশ্বাস্যই বটে। তবে সত্যি সত্যিই এমন নজির দেখা গিয়েছিল ১৯৯৭ সালে ওভালে ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে ষষ্ঠ টেস্টে। সে ম্যাচে ইনিংসে নিজের সেরা বোলিং করেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক পেসার মাইকেল কাসপ্রোইচ (৭/৩৬)।
ক্রিকইনফোর ‌'আস্ক স্টিভেন' জানাচ্ছে ওভালে সে টেস্টে আরও দুজন বোলার ইনিংসে ৭টি করে উইকেট নেন। ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংসে ৭৬ রানে ৭ উইকেট নিয়েছিলেন কাসপ্রোইচের সতীর্থ গ্লেন ম্যাকগ্রা। এরপর অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ইনিংসে ৬৬ রানে ৭ উইকেট নেন ইংলিশ স্পিনার ফিল টাফনেল। কাসপ্রোইচ ৭ উইকেট নেওয়ায় দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ১৬৩ রানে গুটিয়ে যায় ইংল্যান্ড। তবে অস্ট্রেলিয়া ম্যাচটি জিততে পারেনি। মাত্র ১২৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে টাফনেল (৪.২৭) ও অ্যান্ড্রু ক্যাডিকের (৫/৪২) সামনে ১০৪ রানেই অলআউট হয় অস্ট্রেলিয়া।
ইংল্যান্ডের ১৯ রানে জয় পাওয়া সে টেস্ট স্মরণীয় হয়ে আছে অন্য এক কারণে। টেস্ট ইতিহাসে সে ম্যাচে প্রথম তিনজন বোলার ৭টি করে উইকেট নিয়েছিলেন। এই নজির আর কখনো দেখা যায়নি।
তবে পরিসংখ্যানের দিক থেকে এর চেয়ে ভালো করার নজির রয়েছে টেস্টে। ১৮৮৯ সালে কেপটাউন টেস্টে তা দেখা গেছে। দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে ইতিহাসের দ্বিতীয় টেস্টে ইনিংস ব্যবধানে জিতেছিল ইংল্যান্ড। ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংসে ৯৫ রানে ৭ উইকেট নিয়েছিলেন বাঁহাতি পেসার উইলিয়াস ‌'গোবো' অ্যাশলে। দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম ইনিংসে ১৭ রানে ৭ উইকেট নেন বাঁহাতি স্পিনার জনি ব্রিজস। প্রথম ইনিংসে ৪৭ রানে গুটিয়ে যায় স্বাগতিকেরা। দ্বিতীয় ইনিংসে অলআউট হয় আরও ৫ রান কম করে। জনি ব্রিজস এবার ১১ রানে নেন ৮ উইকেট!