সাইফের ওপর ফিফার নিষেধাজ্ঞা

অনুশীলনে সাইফ স্পোর্টিং। প্রথম আলো ফাইল ছবি
অনুশীলনে সাইফ স্পোর্টিং। প্রথম আলো ফাইল ছবি

সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবের নতুন খেলোয়াড় নিবন্ধনে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ফিফা। তিন বিদেশি খেলোয়াড়ের আর্থিক অভিযোগের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের করপোরেট ক্লাবটিকে এই নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা। আর্থিক বিষয় নিষ্পত্তি না হওয়ার আগে নতুন দেশি – বিদেশি কোনো খেলোয়াড় দলে নিতে পারবে না সাইফ। এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানিয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন।

২০১৬ সালে পেশাদার লিগের দ্বিতীয় স্তরে প্রথম নাম লেখায় সাইফ। সার্বিয়ান কোচ নিকোলা কাবাজোবিচের অধীনে রানার্সআপ হয়ে ওঠে প্রিমিয়ারে। সার্বিয়ান এই কোচের হাতেই তুলে দেওয়া হয় প্রিমিয়ার লিগের দলের দায়িত্ব। কোচ কাম এজেন্ট নিকোলা নিজের পছন্দ অনুযায়ী তিনজন খেলোয়াড় নিয়ে এসেছিলেন। তাঁরা হলেন স্লোভেকিয়ার ম্যাকো ভিলিয়াম, মন্টিনেগ্রোর সাভা গারদাসেভিক ও সার্বিয়ার জোরান রাদোবিচ।

কিন্তু ক্লাবের এই তিন খেলোয়াড়কে পছন্দ না হওয়ায় তাদের নাম নিবন্ধন করানো হয়নি। এরপর তাঁরা দেশে ফিরে খসড়া চুক্তি অনুযায়ী ফিফার কাছে পুরো মৌসুমের বেতনের জন্য আবেদন করেন এবং শেষ পর্যন্ত রায় তাদের পক্ষেই গেছে।।বাংলাদেশি টাকায় তিনজনের দাবিকৃত মোট অর্থ প্রায় এক কোটি টাকা। গত মাসে শেষ হয়ে গেছে খেলোয়াড়দের অর্থ বুঝিয়ে দেওয়ার নির্দিষ্ট সময়ও। সেজন্যই সাইফের ওপর ফিফার এই নিষেধাজ্ঞা।

নাম নিবন্ধন না হওয়া সত্ত্বেও খেলোয়াড়েরা মোটা অঙ্কের অর্থ দাবি করায় অবাক সাইফ স্পোর্টিংয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাসির উদ্দিন চৌধুরী। তবে করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হলে এই অর্থ বুঝিয়ে দেওয়া হবে বলে জানান তিনি , 'তিনজন খেলোয়াড়কে তৎকালীন কোচ প্রাক মৌসুমে এনেছিলেন। কিন্তু ওদের পছন্দ না হওয়ায় রেজিস্ট্রেশন না করেই ক্লাবের দায়িত্বে দেশে পাঠিয়ে দেই। কিন্তু তাঁরা পুরো মৌসুমের ক্ষতিপূরণ চেয়ে ফিফার কাছে আবেদন করে এবং রায় তাদের পক্ষে পেয়েছে। এতে আমরা অবাকই হয়েছি। তবে করোনা পরিস্থিতির পরিবর্তন হলেই ফিফার নির্দেশনা অনুযায়ী অর্থ বুঝিয়ে দেওয়া হবে।'